309358

যে ৭ খাবার আপনার ফ্রিজে অবশ্যই থাকা প্রয়োজন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
স্বাস্থ্যকর খাবারের উপকারিতার কথা আমরা সবাই জানি কিন্তু খাওয়ার বেলায় সেই জাঙ্কফুডের দিকেই ঝোঁক। এমনকী বাড়ির ফ্রিজ খুললেও সেসব অস্বাস্থ্যকর খাবারই মিলবে। এই যদি হয় অবস্থা, তবে আপনার সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা আর কে দেবে! সুস্থ থাকতে চাইলে জাঙ্কফুড সরিয়ে সেই জায়গায় নিয়ে আসতে হবে স্বাস্থ্যকর সব খাবার, খেতে হবে নিয়মিত। জেনে নিন কোন খাবারগুলো ফ্রিজে রাখলে এবং নিয়মিত খাবেন-

ডিম: একটি ডিমের মধ্যে ৭ গ্রাম উচ্চ মানের প্রোটিন থাকে যা, আপনার দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সরবরাহ করতে যথেষ্ট। ডিম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং আয়রন, কোলিন, ভিটামিন বি -১২ ও বিরল ভিটামিন ডি আছে। ডিম থেকে কুসুমকে ফেলে দেবেন না, কারণ এটি সবচেয়ে পুষ্টিকর অংশ।

কাঁচা শাক-সবজি: ফ্রিজ থেকে প্রসেসড খাবার সরিয়ে সেখানে রাখুন কাঁচা শাক-সবজি। শসা, ধুন্দুল এবং গাজর সংরক্ষণ করুন। কাঁচা শাক-সবজির মধ্যে এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। অধিকাংশ শাক-সবজিতে প্রাকৃতিকভাবেই ফ্যাট এবং ক্যালোরি কম থাকে এবং কোলেস্টেরল থাকে না।

ফলের সালাদ: ফল আমাদের শরীরের উপকারে সব সময়েই সক্রিয়। তাজা এবং কেমিক্যালমুক্ত ফল প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় থাকলে তা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। আপেল, আঙুর, লেবুসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল পাতে রাখুন। ডায়েটে ফল থাকলে তা রক্তচাপ হ্রাস, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি, ক্যান্সার, চোখের সমস্যা, হজমে সমস্যা কমায় এবং রক্তে শর্করার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে।

সবুজ সালাদ: সবুজ সালাদে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, ফাইবার এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে, এটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে, কোলেস্টেরল থাকে না এবং প্রাকৃতিকভাবে ক্যালোরি এবং সোডিয়াম কম থাকে। পালং শাক বা লেটুস, চেরি টমেটো, মটরশুঁটি এবং বাদাম দিয়ে তৈরি সালাদ কেবল শক্তির উৎসই নয়, পাশাপাশি এতে পুষ্টিকর উপাদানও রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ দরকারি।

আমন্ড বাটার: সব ধরনের বাদামই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আমন্ড এর মধ্যে অনত্যম। আমন্ড সবচেয়ে উপকারি বাদাম, যা মাখন তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে আমন্ড বাটার ব্যবহার করতে পারেন।

কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাতীয় পণ্য: কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার যেমন – স্কিম বা ফ্যাটবিহীন দুধ এবং কম ফ্যাটযুক্ত দই এবং কটেজ চিজ হলো, বিভিন্ন খনিজ এবং বি ভিটামিন রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, বি ৬, বি ১২ এবং প্রোটিনের চমৎকার উৎস। কম চর্বিযুক্ত ডায়েটগুলো ওজন হ্রাস করতে এবং কোলেস্টেরলও উন্নত করতে পারে। এগুলো ফ্যাট, প্রোটিন এবং পুষ্টির স্বাস্থ্যকর উৎস।

আইসড গ্রিন টি: ক্যালোরি কাটানোর অন্যতম সেরা উপায় হলো বিভিন্ন প্রকার পানীয় এড়িয়ে চলা। একগ্লাস কোমল পানীয়র পরিবর্তে এককাপ আইসড গ্রিন টি পান করলে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সরবরাহ করার পাশাপাশি প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ওজন হ্রাসকে বাড়িয়ে তোলে।

ad

পাঠকের মতামত