309158

১৯ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার হলো পোষা বিড়াল!

এসির আউটডোর ইউনিটের ফাঁকে আটকে পড়া পোষা বিড়াল উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের শরণ হলেন বিড়ালটির মালিক। আটকে পড়ার ১৯ ঘণ্টা পর আজ রবিবার সকাল ৯টায় বিড়ালটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় শত শত লোক বিড়াল উদ্ধার দেখতে হাসপাতাল ভিড় করে।

বিড়ালের মালিক যশোর শহরের পূর্ববারান্দীপাড়ার জাকির হোসেন জানান, দুই বছর আগে আমার স্ত্রী নাজমা এলাকার একটি ডোবা থেকে বাচ্চা অবস্থায় বিড়ালটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। বাড়ি আনার পর বিড়ালটিকে সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে পরিষ্কার করা হয়।

এরপর বিড়ালটি আমরা কোলে পিঠে করে বড় করি। এমনকি সে আমাদের সাথে বিছানাতেই ঘুমায়। বিড়ালটি আমাদের সন্তানের মতো। আমাদের একমাত্র ছেলে সাইফ সাদাত পড়াশোনার জন্য ঢাকা থাকে। এ কারণে নিঃসঙ্গতায় আমাদের সঙ্গী ওই বিড়ালটি।

তার পেটে বাচ্চা থাকার কারণে গত শনিবার সকালে বিড়ালটিকে আমি ও আমার স্ত্রী পশু হাসপাতালে নিয়ে যাই ভ্যাকসিন দিতে। সেখান থেকে ফিরে দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের তিনতলায় পেয়িং ওয়ার্ডে যাই আমার আত্মীয় এক রোগী দেখতে। এ সময় বিড়ালটি আমার স্ত্রীর কোল থেকে নিচে নামে। কিছুক্ষণ পর তাকে খোঁজা শুরু করি।

হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে তাকে না পেয়ে বাড়ি চলে যাই। আজ সকাল ৭টায় এসে আবার তাকে খোঁজা শুরু করি। একসময় হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিপরীতে এসির আউটডোর ইউনিটের ফাঁকে বিড়ালটিকে দেখতে পাই।

তখন দেরি না করে ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানাই। ফায়ার সার্ভিসের লোক আমার ডাকে সাড়া দিয়ে বিড়ালটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আমার স্ত্রীর হাতে দেন।

বিড়াল হাতে পেয়ে জাকিরের স্ত্রী নাজমা বেগম আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, বিড়ালটিকে আমি ‘মা’ বলে ডাকি। বিড়াল ফেরত পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের লোকদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

যশোর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, মানবতার জন্য আমাদের আসা। আমরা বিড়ালটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মালিকের হাতে তুলে দিতে পেরে খুবই আনন্দিত।

ad

পাঠকের মতামত