307476

বাবা মিস্ত্রী, মা হোটেলের রাঁধুনী; ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা

বাবা চাকরি করতেন কারখানায়, মা গৃহিণী। হঠাৎ বাবার চাকরি চলে যাওয়ায় অভাবের সমুদ্রে পড়ে যান তারা। এরপর বাবা কোনোরকমে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি কাজ জোগাড় করেন। কিন্তু সেই আয়ে সংসার চলত না। তাই মা কাজ করা শুরু করেন হোটেল, সেখানে রুটি বানাতেন তিনি। ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি বাবা ও হোটেলের রাঁধুনী মায়ের ছেলে এখন পুলিশ কর্মকর্তা হয়েছে। গল্পটি ভারতের রাজস্থানের।

দেশটির কনিষ্ঠতম অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিটেন্ডেন্ট পুলিশ (এএসপি) হয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর রাজস্থানের জামনগর থানায় কাজে যোগ দেবেন তিনি। নিজের এই সাফল্য বাবা-মাকে উত্সর্গ করেছেন। ভারতের কনিষ্ঠতম এই এএসপির নাম সাফিন হাসান। গুজরাটের পালানপুরে জন্ম তার। ছোটবেলায় একবার জেলাশাসককে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধান করতে দেখেছিলেন।

খুব সহজ আর সুন্দরভাবে গ্রামবাসীর সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন সেই জেলাশাসক। তাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান বাতলে দিচ্ছিলেন। বিনিময়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন শ্রদ্ধা আর সম্মান। ওই জেলাশাসককে দেখেই সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা হয় সাফিনের। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভের পর তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তাকে অবশ্য শুধু বাবা-মা সাহায্য করেননি, এমন এক মেধাবী ছেলের যেন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে এগিয়ে এসেছিলেন এক প্রতিবেশী পরিবারও। পরে ইউপিএসসি-তে সারা ভারতে ৫৭০ র‌্যাঙ্ক করেন তিনি এবং মাত্র ২২ বছর বয়সে ভারতে কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হয়ে যান।

ad

পাঠকের মতামত