306620

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে কুকুর আতঙ্ক

জেলা প্রতিনিধি :: নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে দর্শনার্থীদের আতঙ্ক এখন কুকুর। কুকুরগুলোর কারণে এখানে বেড়াতে আসা লোকজনকে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। কুকুর নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি দর্শনার্থীদের।
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার। এটি বদলগাছী উপজেলা সদর থেকে উত্তরে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাস্তা সংস্কার হওয়ায় ভোগান্তি কমেছে দর্শনার্থীদের। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা।
বন্ধু-বান্ধব ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাস ও মাইক্রোবাস যোগে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে পিকনিকে আসেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বেশির ভাগই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ভেতরের চত্বরে নিজেরা রান্না করে খান।

রান্না করে খাবারের সময় এসব দর্শনার্থীদের মধ্যে কুকুরের আতঙ্ক থাকে। সে সময় কুকুরগুলো চারপাশে ঘুরাঘুরি করে। কখন যে তারা হামলা করবে তা বলা সম্ভব না। কুকুরের কামড়ের ভয়ে হাত থেকে খাবার ফেলে দেয়ারও ঘটনা ঘটেছে। সেখানে প্রায় ৪০-৫০টি কুকুর রয়েছে। এসব কুকুরের কারণে দর্শনার্থীদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের বাউন্ডারি প্রাচীর একটু নিচু। অপরদিকে স্থানীয়রা গবাদিপশুর ঘাস সংগ্রহের জন্য গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। যার কারণে প্রাচীর টপকে ও ভাঙা গ্রিলের ভেতর দিয়ে কুকুর প্রবেশ করতে পারে। তাই দর্শনার্থীদের বৌদ্ধবিহারে ঘুরাঘুরি ও খাবারের সময় আতঙ্ক কাটাতে কুকুর নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) স্ব-পরিবারে বগুড়া থেকে মাইক্রোবাস যোগে বেড়াতে আসেন রফিকুল। তিনি জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার চত্বরে পরিবারের ৮ সদস্য মিলে বাসা থেকে আনা খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় ১৫-২০টি কুকুর এসে হাজির। তাড়ানোর পর আবার তারা আসছে। ভয় নিয়ে তো খাওয়া সম্ভব নয়।
পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আবু সাইদ ইনাম তানভিরুল বলেন, হাইকোর্টের রিটের কারণে কুকুর আমরা মারতে পারি না। তারপরও পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা কুকুর তাড়িয়ে দেন। তবে গত বছর থেকে এ বছর কুকুরের সংখ্যা কম।
তিনি বলেন, আমাদের বাউন্ডারি প্রাচীর নিচু হওয়ায় ও পর্যটকরা গেট দিয়ে প্রবেশের সময় কুকুর ভেতরে ঢুকে পড়ে। এছাড়া স্থানীয় কিছু মানুষ আছে যারা গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঘাস কাটার জন্য প্রবেশ করে। গত এক বছরে চারবার গ্রিল মেরামত করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত