306545

ডিএপি সারের দাম কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কৃষক সমিতি

সরকার কর্তৃক ডাই অ্যামুনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় কৃষক সমিতি।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় কৃষক সমিতির কার্যনির্বাহী সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এর ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে আসবে এবং কৃষক উৎপাদন করতে আরও উৎসাহিত হবে।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘এ দেশের কৃষকের অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, বিএনপি-জামাত জোট আমলে সারের দাবিতে কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছিল এবং তারপরও কৃষক সার পায়নি। সেক্ষেত্রে সারের দাম কমিয়ে আনা এবং সেটা ভোক্তা পর্যায়ে তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার এ উদ্যোগ অবশ্যই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।’
জাতীয় কৃষক সমিতির নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কেবল সার নয়, এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ এবং ডিজেল যেটা সেচের জন্য প্রয়োজনীয় এবং পানির মূল্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে।’
জাতীয় কৃষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয় যে, ‘ইতোপূর্বে ঢাকায় জাতীয় কৃষক ক্ষেত-মজুর কনভেনশনে গৃহীত ১২ দফা কর্মসূচিতে কৃষিপণ্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং যাতে কৃষকরা সরাসরি তাদের ধান বিক্রি করতে পারে তার জন্য উপজেলায় প্যাডি সাইলো স্থাপন করা এবং ক্রয় করার ক্ষেত্রে উৎপাদন সমবায় গঠন করে তাদের মাধ্যমে ক্রয় করা, ক্ষেত-মজুরদেরকে তাদের পেনশন দেয়ার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই অনুযায়ী তারা ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে এবং পণ্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য হাইকোর্টেও একটি রিট করেছে। হাইকোর্টের রুলের প্রেক্ষিতে এবং এ সমস্ত দাবির প্রেক্ষিতে হলেও সরকার বেশ আগেই যে আমন ধানের মূল্য ও ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তাতে কৃষকদের উপকৃত হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেহেতু সাংগঠনিকভাবে সেভাবে রূপ দেয়া যায়নি তার ফলে কৃষক এখনো তার ধানের দাম পাচ্ছে না। বরঞ্চ উৎপাদিত ধানের দাম কমে গেছে।’
‘অন্যদিকে ভোক্তা পর্যায়ে মিল মালিক এবং চালের ব্যবসায়ীরা তারা ইতিমধ্যে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে কৃষকের ধানের মূল্য কম হওয়া অন্যদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধি এই যে, বিপরীতধর্মী বিষয় এ বিষয়টি সুরাহা করা আশু প্রয়োজন এবং এর ফলে যে সিন্ডিকেট বা মধ্যসত্ত্বভোগীরা যে সুবিধা পাচ্ছে সেটাও ভেঙে দিতে হবে কৃষকের স্বার্থেই।

ad

পাঠকের মতামত