306334

যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার হিসেবে ‘পারমাণবিক বোমা’ দিতে চায় উত্তর কোরিয়া!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সম্প্রতি দুই দেশের বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দর কষাকষির বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিতে ‘ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে’ বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এরপর কাজের কাজের কিছুই হয়নি। এরই মধ্যে কয়েকবার পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কোনো নিষেধাজ্ঞা মানছেন না দেশটির নেতা কিম জন উন।

এবার আরো ক্ষেপেছেন কিম। যুক্তরাষ্ট্রকে বড় ধরনের হুমকিই দিয়ে দিল উত্তর কোরিয়া। ইতিমধ্যেই শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মিসাইল উৎক্ষেপণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘থ্যাংকসগিভিং ডে’র শুভেচ্ছা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নানা নিষেধাজ্ঞার জবাব দিতে স্বল্প পাল্লার দু’টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করে ‘থ্যাংকসগিভিং ডে’র শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশটি। তবে এতেও কোন পরিবর্তন না আসলে আরও ভয়াবহতার সৃষ্টি করবে বলে জানান দিলো উত্তর কোরিয়া।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আলোচনার অগ্রগতি না হলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিণতি ভয়াবহ হবে। বছরের শেষে পিয়ংইয়াং থেকে কি ধরনের ‘ক্রিস্টমাস উপহার’ পাবে তা নির্ভর করবে ওয়াশিংটনের ওপর।

কিম জন উনের প্রশাসন মার্কিন প্রশানকে চাপে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা চায় মার্কিনিরা পিয়ংইয়াংয়ের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুক। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে পিয়ংইয়াং বিপারমাণবিকীকরণ করবে না। আবার বলা হচ্ছে, ৩১ ডিসেম্বরের উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিপারমাণবিকীকরণ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আলোচনা শেষ না করলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রবিষয়ক উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতি বলেন, এখন যা করার বাকি রয়ে গেছে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে। তাদের ওপরই নির্ভর করছে ‘ক্রিসমাস উপহার’ হিসেবে মার্কিনিরা কি পেতে যাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সালের জুলাই মাসের দিকে প্রথম পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায়। তখন কিম জানান, বোমাগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উপহার প্যাকেজ। সম্প্রতি কোরিয়া নতুন প্রযুক্তির কয়েকটি বোমার পরীক্ষা চলিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পরীক্ষায় কোনো ধরনের সমস্যা হবে না যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে হামলা করার মতো সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

ad

পাঠকের মতামত