305764

স্ত্রীকে মেরে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিল স্বামী

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোনাতলা এলাকায় সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূ মারুফা পারভীনের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মারুফা পারভীন সোনাতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা ও শহিদুল ইসলাম কারিগরের প্রতিবেশী ফিরোজা বেগম জানান, সকাল থেকে চারদিক পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। একে একে এলাকার বিভিন্ন মানুষ উপস্থিত হয়। কিন্তু দুর্গন্ধটি কোথা থেকে আসছিল সেটা কেউ বুঝতে পারছিল না। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদকালে শহিদুল তার স্ত্রী মারুফাকে হ’ত্যার কথা স্বীকার করে মরদেহটি কোথায় লুকিয়ে রেখেছে সেটি দেখিয়ে দেন।

এ সময় শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ঝালমুড়ি বিক্রি করি। স্ত্রীর অন্য ছেলের সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। ৫-৬ দিন আগে তাকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হ’ত্যা করে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে মরদেহ লুকিয়ে রেখেছি।

কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী মারুফা পারভীনকে হ’ত্যা করে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) থানায় জিডি করেন। জিডিতে শহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, গত ১৭ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।

ওসি জানান, চারদিক পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শহিদুল ইসলামকে বিভিন্ন কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে সে স্বীকার করে তার স্ত্রীকে হ’ত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছে। তার দেওয়া তথ্যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত