305768

বিক্রি হচ্ছে না পেঁয়াজ

সারাদেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ১৩ শতাংশই হয় রাজবাড়ীতে। কিন্তু এ বছর অতিবৃষ্টিতে বীজ নষ্ট ও ফলন কম হওয়াসহ বাজারে সরবরাহ না থাকায় কমছে না পেঁয়াজের দাম।

এদিকে দাম বেশির কারণে পেঁয়াজ কম বিক্রি হওয়ায় লোকসানে খুচরা ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির পরও কমছে না পেঁয়াজের দাম। যে কারণে তারা অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ কিনছেন।

আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাজবাড়ী শহরের বড় বাজারে পুরোনো পেঁয়াজ (বড় ও ছোট) ১৯০ থেকে ২২০, ছাল পচা ১৫০ থেকে ১৬০ ও নতুন পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এ সময় ক্রেতাদের আধা কেজি (৫০০ গ্রাম), সর্বোচ্চ এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে দেখা যায়।

কৃষকরা জানান, এতো দিন বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠে যেত। কিন্তু বৃষ্টির কারণে রোপণে দেরি হওয়ায় উঠতে দেরি হচ্ছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ পুরোপুরি আসতে ২০ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে। তখন হয়তো দাম কমবে।

ক্রেতারা বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। তারপরও দাম কমছে না, তাহলে সে পেঁয়াজ কোথায় যাচ্ছে? বাজার এভাবে থাকলে পেঁয়াজ খাওয়াই বন্ধ করে দিতে হবে। চাহিদা বেশি থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় কম পেঁয়াজ কিনছেন।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, রাজবাড়ীর বিভিন্ন স্থান থেকে তারা পেঁয়াজ কিনে এনে বিক্রি করেন। কিন্তু এখন বাজারে সরবরাহ কম এবং নতুন পেঁয়াজও তেমন আসছে না। যে কারণে দামও কমছে না। আগে যেখানে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ মণ পেঁয়াজ বিক্রি করতেন, এখন দাম বেশি থাকায় সেখানে মাত্র ২০ থেকে ৩০ কেজি বিক্রি করতেও হিমশিম খাচ্ছেন।

তারা বলেন, সারাদিন বসে থাকতে হয়। ক্রেতারা এসে দাম শুনে ২৫০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম, সর্বোচ্চ এক কেজি পেঁয়াজ কিনছেন। বাজার এভাবে থাকলে তাদের ব্যবসাই বন্ধ করে দিতে হবে।

ad

পাঠকের মতামত