305700

সুনামিতে টিকে থাকা রহমতুল্লাহ মসজিদ

ভারত মহাসাগরে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামি আফ্রিকা মহাদেশের সোমালিয়া থেকে ওশেনিয়ার অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত আঘাত হানে ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর। এতে ২ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বলে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সূত্রে জানা যায়। সুনামিটি বয়ে যায় ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) উচ্চতা। এর স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায় ইন্দোনেশিয়ার লামপুকের সব স্থাপনা। পরবর্তীকালে আচেহ প্রাদেশিক সরকার জানায়, স্থানটিতে ওই সময় বাস করা ৬ হাজার অধিবাসীর মধ্যে মাত্র ৭০০ জন জীবিত ছিলেন।

স্রোতের করালগ্রাসে আশপাশের সবকিছু ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। কিন্তু সমুদ্র সৈকতের খুব কাছে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও মসজিদটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। দেখা গেছে, সুনামিতে ১৬শ বর্গ মিটার আয়তনের মসজিদটির পিলারের সামান্য ক্ষয় ছাড়া আর বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। সুনামি থেকে বেঁচে যাওয়া মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিরা সেই বিভীষিকাময় দিনের কথা ভাবলে আঁতকে উঠেন। ইমাম সুলাইমান মুহাম্মদ আমিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, আল্লাহর রহমত হিসেবে মসজিদটি তার নামেরই স্বার্থকতা প্রকাশ করেছে। ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল মসজিদের গম্বুজের থেকেও উঁচু। শুভ্রতার আবিরমাখা এই রহমতুল্লাহ মসজিদ এখন পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

ad

পাঠকের মতামত