305712

বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ করেছে মিয়ানমার!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর পাশবিক নিপীড়নের জন্য বিশ্ব জুড়ে অধিকৃত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, ১৯৮০ সাল থেকে দেশটির কাছে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ছিল, তারা সেগুলো ধ্বংস করেনি। বরং সেগুলো এখনও মিয়ানমারের কাছেই আছে।

তাদের আরও অভিযোগ,রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণে আন্তর্জাতিক একটি কনভেনশন লঙ্ঘন করছে মিয়ানমার। সোমবার রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা বা ওপিসিডাব্লিউ-এর বার্ষিক সভায় এমন তথ্য দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের কাছে ভারী গ্যাস উৎপাদনের একটি ক্ষেত্রে এখনও রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে।

আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যম জানায়, রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তিতে (সিডব্লিউসি) এধরনের অস্ত্র তৈরি, মজুদ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে এ চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয় মিয়ানমার।

নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ওপিসিডব্লিউর বৈঠকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা থমাস ডিনানো বলেন, মিয়ানমারের রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনায় এখনো অস্ত্রের মজুদ রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য রয়েছে, মিয়ানমারের কাছে এখনো আশির দশকের সালফার মাস্টার্ড (রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত গ্যাস) প্রকল্প ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি কারখানা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাপ্ততথ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করছে যে, অতীতের রাসায়নিক অস্ত্র প্রকল্পের কথা স্বীকার ও রাসায়নিক অস্ত্র কারখানা ধ্বংস না করে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক চুক্তি (ডিডিব্লিউসি) মানছে না।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এর আগেও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের যত অভিযোগ-

  • ২০১২ সালে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের এক খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফসফরাস ব্যবহার করেছিল বলে সংসদীয় এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
    মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ এনে প্রতিবেদন করেছিলেন দেশটির পাঁচ সাংবাদিক৷ সে কারণে ২০১৪ সালে তাঁদের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
  • মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বাস করা কচিন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে।
  • ২০০৫ সালে লন্ডনের মানবাধিকার সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল।
    স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চায় ওয়াশিংটন। এছাড়া মজুদ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সাহায্য করতেও প্রস্তুত তারা।

ad

পাঠকের মতামত