305720

বিনা দোষেই কারাগারের অন্ধকারে ৩৬ বছর!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ খুন না করেও সেই অপরাধের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে ৩৬ বছর কারাগারের অন্ধকারে কাটিয়ে দিলেন নির্দোষ তিন ব্যক্তি। ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রকে হত্যার অভিযোগ এনে তাদের প্রতি এমন অবিচার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ প্রশাসন।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর স্কুলের ১৪ বছরের এক ছাত্রকে হত্যা করার অভিযোগ সন্দেহে ঠিক পাশের স্কুলের তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয় হাজতে।

তবে ১৯৮৩ সালের এ ঘটনার নাটকীয় মোড় নেয় ঠিক কয়েক মাস আগে। যখন প্রমাণিত হয় একটা ভুল বিচারের কারণে নির্দোষ তিন ব্যক্তি ৩৬ বছর ধরে কারাগারে বন্দি ছিলেন।

আবার কোনদিন পৃথিবীর আলো দেখতে পাবে এর আশা একদম ছেড়েই দিয়েছিলেন কারাগারে অন্ধকারে থাকা দুই ব্যক্তি। এদের মধ্যে এতটা বছর কারাগারে কাটিয়ে দেওয়া ৫২ বছর বয়সী আলফ্রেড চেস্টন্ট হঠাৎ জীবনের মায়া থেকে বাল্টিমোরের অ্যাটর্নি কনভিশন ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের কাছে হাতে লেখা একটা চিঠি পাঠান।

তার লেখা চিঠিটি আইনজীবী মেরিলিন মোসবি হাতে পান। তিনি এক টেলিভিশনে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরই মূল ঘটনার উদঘাটন শুরু হয়। ৩৬ বছর আগের হত্যাকাণ্ডের মামলাটি খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুরো ইউনিট দেখতে পায় এতটা বছর ওই তিন ব্যক্তি নির্দোষ কারাগার কাটিয়েছেন। তারা মামলাটি দ্রুত মীমাংসা করতে তিন ব্যক্তিকে আদালতে তলব করেন।

সোমবার বিকেলে চেস্টনট এবং তার শৈশবের বন্ধু রানসম ওয়াটকিন্স এবং অ্যান্ড্রু স্টুয়ার্ট শেষবারের মতো কারাগারের ইউনিফর্মে আদালতের কক্ষে নিয়ে আসা হয়।

প্রসিকিউটরের কনভিকশন ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের প্রধান লরেন লিপসকম্বের মামলার সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করার পরে বাল্টিমোর সার্কিট কোর্টের বিচারক চার্লস পিটারস তাদের সত্যিকারের নির্দোষের রায় দেন এবং ঘটনাটির নতুন বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেন।

নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর বিচারক পিটারস বলেছিলেন, ‘আমি ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার পক্ষে এবং আমি নিশ্চিত যে এটি আপনার কাছে খুব সামান্য। তবে আমি এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

ad

পাঠকের মতামত