305512

টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের ছবি দিয়ে কলকাতা পুলিশের প্রচারণা!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচারে বারবার বাইক আরোহীদের উদ্দেশ্যে হেলমেট পরার আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হেলমেট ছাড়াই বাইকে সওয়ার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বহু আরোহী। তাতে দুর্ঘটনায় প্রাণও যাচ্ছে অনেকের।

এবার কলকাতার গোলাপী টেস্টে ভারতের ইশান্ত শর্মার বাউন্সারে বাংলাদেশের মহম্মদ মিঠুনের চোট পাওয়ার ঘটনাকে নিয়ে সচেতনতামূলক মিম বানালো কলকাতা পুলিশ।

ইডেন টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তিন দিনেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতীয় পেসারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি মুমিনুল-রিয়াদরা। আর এই কারণে ইনিংস ও ৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ঐতিহাসিক টেস্টে হারার আগে ক্রিজে রীতিমত অসহায় ছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।অনেকের গায়ে ভারতীয় বোলারদের বল আঘাত হানে। কারো হেলমেটও শিকার হয় বলের আঘাতের।

মিঠুনের হেলমেটে ইশান্তের বাউন্সার আছড়ে পড়ার ছবিতে কলকাতা পুলিশের তরফে লেখা হয়, ‘রাখে হেলমেট, মারে কে!’। অর্থাৎ হেলমেট থাকা যে কতটা নিরাপদ তা বোঝাতেই এমন ছবি ও ‘কোট’ ব্যবহার করা হয়েছে। বাস্তবেও আঘাত পেলেও হেলমেট থাকার কারণে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে পেরেছেন মহম্মদ মিঠুন। সেই প্রেক্ষাপটকেই এবার সচেতনতার কাজে ব্যবহার করল কলকাতা পুলিশ।

এ নিয়ে এক ধরণের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে নেটিজেনদের মধ্যে। কেউ বলছেন ট্রাফিক আইন মানতে অভিনব প্রচার চালিয়েছে পুলিশ। আর কেউ বলছেন অভিনব প্রচারণা বলতে আসলে বাংলাদেশি ব্যাটংম্যানদের বিদ্রুপ করা হয়েছে। আসলে কি বোঝানো হয়েছে সেটি এখন পরিষ্কার নয়।

অবশ্য এর আগেও আইপিএলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং জস বাটলার ঘটিত ‘মানকড় কাণ্ড’ নিয়ে মিম বানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ট্র্যাফিক সিগন্যালে ‘স্টপ লাইনে’ গাড়ি থামানোর গুরুত্ব বোঝাতে কলকাতা পুলিশ সাহায্য নেয় অশ্বিনের ‘মানকড়িং’-এর সেই মুহূর্তের, যা আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেখা যায় জয়পুরে এবং পোস্ট করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই মিম। ছবির সঙ্গে বার্তা ছিল – ‘ক্রিজে হোক বা রাস্তায় আগে পেরোলে পস্তায়।’ সুত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।

Posted by Kolkata Police on Saturday, 23 November 2019

ad

পাঠকের মতামত