304907

বিয়ের পর স্ত্রীকে কলেজে ভর্তি, প্রেমিকের হাতে স্বামী খু’ন!

বাড়ির সামনে থেকে এক যুবকের ‘র’ক্তা’ক্ত দে’হ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটায়। নি’হতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে সুতাহাটার একটি কালভার্টের নিচ থেকে উদ্ধার হয় তার দে’হ।

নি’হত যুবকের নাম সৌরভ দলুই। তিনি সুতাহাটার হরিণভাষার বাসিন্দা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন সৌরভ। রাতেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। স্ত্রী সুদীপ্তা তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে গতকাল সকালে এলাকারই একটি কালভার্টের নিচে উদ্ধার হয় সৌরভের দে’হ। র’ক্তাক্ত অবস্থায় সৌরভের দে’হটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারাই নি’হতের বাড়িতে খবর দেন। নি’হতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করেই সৌরভকে খু’ন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

ওই ঘটনায় নি’হত সৌরভের বাবা পুত্রবধূর ‘প্রেমিক’ অতনু মাইতির বিরুদ্ধেই খু’নের অভিযোগ করেছেন। ছয়জনের নামে সুতাহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সুতাহাটা থানার পুলিশ। দে’হ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

সৌরভের ‘খু’নি’ অনতু নি’হতের পরিবারের দাবি, সৌরভকে খু’নের পেছনে হাত রয়েছে পুত্রবধূর প্রেমিক অতনু মাইতির। বিয়ের আগে থেকেই তাদের পুত্রবধূকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন অনতু। বিয়ের পরও বেশ কয়েকবার তাদের পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দেন তিনি। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় সৌরভের স্ত্রী। এ কারণেই সেই প্রেমিক অনতু খু’ন করেন সৌরভকে।

পেছনের ঘটনা

তিন বছর আগে পাশের গ্রাম সাহাপুরের বাসিন্দা সুদীপ্তার সঙ্গে বিয়ে হয় সৌরভ দলুইয়ের। বিয়ের পর বেশ কিছুদিন সুখেই চলছিল তাদের সংসার। বিয়ের পরও পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন স্ত্রী সুদীপ্তা। মেধাবী সুদীপ্তার ফলাফলও ভালো ছিল। তাই সৌরভ তাকে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি করিয়েছিলেন।

পরিবারের অভিযোগ, সুদীপ্তা কলেজে যাওয়া শুরু করতেই ফের তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন অভিযুক্ত প্রেমিক অতনু মাইতি।

বিয়ের আগে থেকেই অতনু মাইতি, সৌরভ ও সুদীপ্তার পরিচিত ছিল। সুতাহাটারই বাসিন্দা অতনু মাইতি বিয়ের আগেও অনেকবার সুদীপ্তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন সুদীপ্তা। বিয়ে করেন সৌরভকে। এরপর সুদীপ্তা আবার কলেজ যাওয়া শুরু করলে তাকে উত্ত্যক্ত করেন অতনু। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের খানিক টানাপোড়েনও শুরু হয় বলে দাবি করেছে নি’হতের পরিবার।

নি’হতের বাবা জানান, অনতুর উত্ত্যত্তের কারণে শেষে স্ত্রীকে কলেজে আনা-নেওয়া করেন সৌরভ। এরই মধ্যে এই দম্পতির এক মেয়েসন্তান জন্ম নেয়।

ad

পাঠকের মতামত