304863

পেঁয়াজ নিয়ে হাহাকার, টিসিবির ট্রাকে লম্বা লাইন

পেঁয়াজের দাম নিয়ে হাহাকার বেড়েই চলছে। বাজারে পেঁয়াজের যে দাম তা নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে তুলনামূলক কম দামে পেঁয়াজ কিনতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

টিসিবি রাজধানীর যে কয়টি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে তার মধ্যে একটি সচিবালয় ও অন্যটি জাতীয় প্রেসক্লাবের মাঝের রাস্তায়।রোববার সকালে এই স্থানটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রৌদ্রের মধ্যেই শত শত মানুষ টিসিবির ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কিনতে ভিড় করেছেন। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও ক্রেতাদের সেই ভিড় কমছিল না।

টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. আসলাম নামের একজন বলেন, বাজারে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা। এখানে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা। এ কারণে পেঁয়াজ কিনতে এখানে এসেছি। লাইনে দাঁড়িয়েছি এক ঘণ্টা হয়ে গেছে। কিন্তু সামনে এখনও ৫০ জনের মতো আছে। জানি না কখন লাইনের শেষ মাথায় পৌঁছাতে পারব।

তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের যে দাম, এই দামে পেঁয়াজ কিনে খাওয়া আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে খুবই কষ্টের। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে এখন থেকে পেঁয়াজ কিনছে। এতে বেশকিছু সময় লাইনে দাঁড়াতে হলেও এক কেজি পেঁয়াজে একশ টাকা সেভ হবে।

আনোয়ারা বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আগে জনপ্রতি দুই কেজি পেঁয়াজ দেয়া হতো। আজ থেকে এককেজি করে পেঁয়াজ দিচ্ছে। একবার লাইনে দাঁড়িয়ে দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারলে ভালো হতো। তারপরও সরকার যে ৪৫ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ দিচ্ছে তার জন্য ধন্যবাদ। তবে আমাদের দাবি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমানোর পদক্ষেপ নেয়া হোক। তাহলে এই লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কেনার কষ্ট থেকে রেহায় পাওয়া যাবে।

এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) নামের একটি সংগঠন।

এই সংগঠনটির দাবি- পেঁয়াজের বাজারে কারসাজির মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০ কোটি টাকা করে গত চার মাসে ভোক্তাদের ৩ হাজার ১৭৯ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। পেঁয়াজের সিন্ডিকেট যে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তা দিয়ে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্ভব।

সংগঠনটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে জুলাই মাসে ৩৯৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, আগস্টে ৪৯১ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সেপ্টেম্বরে ৮২৫ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং অক্টোবরে ১ হাজার ৪৬৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ভোক্তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কারসাজি চক্র।

ad

পাঠকের মতামত