304852

৭ বছর পর শ্রমিক লীগের সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টারঃ দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগে। নতুন কমিটিতে স্থান পেতে বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। তদবির করছেন নীতিনির্ধারকদের কাছে।

প্রতিদিনই সংগঠনটির বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমণ্ডির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর। কিন্তু এ সংগঠনের হাল কে ধরতে যাচ্ছেন- তা এখন পর্যন্ত কোনো পর্যায়ের নেতারা তেমন কোনো আভাস দিতে পারছেন না।

সেটি জানতে এ মুহূর্তে সবার দৃষ্টি দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। নেতৃত্ব নির্ধারণে তিনি চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ নানা মাধ্যমে আদ্যোপান্ত খোঁজ নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট নেতাদের। আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।

তারা আরও জানান, তারুণ্যনির্ভর, ত্যাগী ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতৃত্ব চাচ্ছে দলের হাইকমান্ড। ফলে শ্রমিক লীগের শীর্ষ পদসহ আগামী কমিটি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন বয়সের ভারে ন্যুজ নেতারা। সেই সঙ্গে টেন্ডার ও চাঁদাবাজি এবং ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নেতাদের ঝেটিয়ে বিদায় করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

পাশাপাশি অন্য দল থেকে এসে সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে যারা বড় পদ বাগিয়ে নিয়েছেন- এমন বিতর্কিত নেতাদেরও জায়গা হবে না শ্রমিক লীগের নতুন কমিটিতে। তাদের পরিবর্তে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

৯ নভেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগের কাউন্সিল। চার বছর আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে শ্রমিক লীগের কমিটির। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই শ্রমিক লীগের সবশেষ সম্মেলন হয়। দুই বছর মেয়াদি এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চার বছরের বেশি সময় আগে।

১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা লাভ করে জাতীয় শ্রমিক লীগ। আদমজির শ্রমিক নেতা মৌলানা সাইদুর রহমানকে সভাপতি ও চটকল শ্রমিক ফেডারেশন নেতা আবদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে যাএা শুরু হয় জাতীয় শ্রমিক লীগের। ২০১২ সালের সর্বশেষ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক নেতা শুকুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন জনতা ব্যাংক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা সিরাজুল ইসলাম। এই সময়ে ৪৫টি সাংগঠনিক জেলার কমিটি করা হয়েছে।

আগামী ৯ নভেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন পদপ্রত্যাশীরা। তাদের মধ্যে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাষ্টার, বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান আকন্দ, মোল্লা আবুল কালাম আজাদ, বর্তমান সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

সাধারণ সম্পাদক পদে যুব শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও অগ্রণী ব্যাংক সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্নসাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম শাহজাহান, রেলওয়ে সিবিএ সভাপতি ও বর্তমান কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এ্যাডঃ হুমাযুন কবির । বাংলাদেশ স্টীল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন সিবিএ সভাপতি খান সিরাজুল ইসলাম । বর্তমান কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজম খসরু। ডিপিডিসি সিবিএ সভাপতি আমিনুল ইসলাম দানেশ, শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিযয়ক সম্পাদক কাউসার আহম্মেদ, অর্থ সম্পাদক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ, শিক্ষা ও সাহিত্য বিযয়ক সম্পাদক মোঃ আলা উদ্দিন মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মোল্লা। আলোচনার যারা রয়েছেন তারা হলেন সভাপতি পদে আবদুল মতিন মাষ্টার ও ফজলুল হক। দীর্ঘদিন যুব শ্রমিকদের নেতৃত্ব ও সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ ও অগ্রণী ব্যাংক সিবিএ নেতৃত্ব দিয়ে আসা আবদুল হালিম শাহাজান। ক্লিন ইমেজ, উচ্চ শিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও পরিশ্রমি যুব নেতা হিসেবে সবার কাছে গ্রহন যোগ্য আবদুল হালিম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকলীগের অনেক নেতা বলেন নেএীর চাওয়া পুরোন করে শ্রমিকলীগ এগিয়ে নিয়ে আগামী দিনে সংগঠনকে শক্তি শালী করতে হলে তার বিকল্প নাই।

ad

পাঠকের মতামত