304740

‘তুমি’ বলায় সন্তানের সামনেই বাবাকে পে’টাল রেল কর্মচারীরা

সন্তানের সামনেই পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাকিবুল ইসলাম সোহাগ (৪৭) নামের এক ব্যক্তিকে মা’রধর করেছে রেলওয়ের তিন কর্মচারী। শনিবার দুপুরে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রেনযাত্রী ঢাকার ডেমড়া এএসআরএম স্টিল অ্যান্ড বিরোলিং মিলের হিসাবরক্ষক। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার দক্ষিণ বটতলা বাদরঝোলা এলাকার নাজিম উদ্দীনের ছেলে।ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন ওই তিনজনই রেলওয়ের কর্মচারী। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেছেন তিনি।আহত ট্রেনযাত্রীর ছেলে রাজধানীর মিতালি বিদ্যাপীঠের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রিয়াদুল ইসলাম (১৪) কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে, বাবার সঙ্গে গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেড়াতে এসেছিলাম।

শনিবার দুপুরে দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের যাত্রীদের বসার বিশ্রামাগারে আমার কোলে মাথা রেখে বাবা একটু শুয়েছিলেন। এ সময় এক অপরিচিত ছেলে এসে বলেন- এখানে শুয়ে আছেন কেন? উঠুন। এ সময় আমি বাবাকে এই কথা বলার পর বাবা উঠে অপরিচিত ওই ছেলেকে বলেন- কী হয়েছে তোমার? সমস্যা কী? যদি বসো, পাশে বসো। জায়গা আছে তো।

একথা বলাতে বাবার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করে কি’ল-ঘু’ষি মা’রতে থাকে। এ সময় আমি বাধা দিলে কি’ল-ঘু’ষি আমার গায়েও লাগে। পরে বাবাকে তার একবন্ধু হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে এখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি।

আ’হত চিত্রা এক্সপ্রেস এর ট্রেনযাত্রী রাকিবুল ইসলাম সোহাগ বলেন, তাদের কাছে গিয়ে জানতে চেয়েছি, কী হয়েছে? বসবে? সামনের ফাঁকা জায়গা আছে বসো? তুমি করে বলেছি, এটাই ছিল অপরাধ! খবর পেয়ে জিআরপি রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ওই দু’র্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট (এসএস) মহিউল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আর কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। তবে ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। অনুসন্ধান করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়ের আরেফিন জানান, এ বিষয় আ’হত ট্রেনযাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ad

পাঠকের মতামত