304609

ক্রিকেটাররা পান ৫০ ডলার, বোর্ড কর্মকর্তারা ৫০০!

স্পোর্টস ডেস্কঃ ধর্মঘটে যাওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের মতো বোর্ডের রাজস্বের ভাগ চেয়েছেন। বুধবার দিনভর নাটকীয়তার পর ১১ দফার বদলে ১৩ দফা দাবি নিয়ে এসেছেন তারা। সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান পেশাদার ক্রিকেটারদের একজন মুখপাত্র হিসেবে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐ ১৩ দাবি উপস্থাপন করেন।

এই দাবিগুলো ডাকযোগে ও ইমেইলের মাধ্যমে বুধবার বিকেল চারটায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। এই দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রফেশনাল ক্রিকেটারদের অ্যাসোসিয়েশন গঠন। নতুন দাবীর আর একটি হল নারী ক্রিকেটাররা যে বেতন ভাতা পান তা যেন পুরুষ দলের সদস্যদের সমান হয়।

এরই সাথে বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে ক্রিকেটারদের আয়ের বড় ধরণের বৈষম্য তুলে ধরেছেন ক্রিকেটারদের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান। “দেশের বাইরে গেলে ক্রিকেটাররা পান ৫০ ডলার আর বোর্ড কর্মকর্তারা পান ৫০০ ডলার” – এমনই বৈষম্যের কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি।

তিনি বলেন, একটা উদাহরণ দেই, কারো বিরুদ্ধে কথা বলছি না, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম বিদেশে ট্যুর করে তখন ন্যাশনাল খেলোয়াড়রা পান ৫০ ডলার আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডাইরেক্টররা পান ৫০০ ডলার। খানিক নীরবতার পর বলেন, ঠিকাছে? ঠিকাছে?

এর আগে গত ২১ অক্টোবর, সোমবার বেতন-ভাতাসহ জাতীয় লিগ, ঘরোয়া লিগ, জিমের সুবিধা, বাজে আম্পায়ারিংসহ নানা ইস্যুতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন ক্রিকেটাররা। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নয়ন ও বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। দাবি না মানা পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেদের বিরত রাখার ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান।

সোমবার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে মিরপুরে বিসিবির একাডেমি মাঠে জড়ো হন খেলোয়াড়রা। সেখানে বিকেলে ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করেন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাকিব-তামিমরা।

এরপর আজ বুধবার বিসিবিকে দেওয়া চিঠিতে ক্রিকেটাররা ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন। আগের ১১ দফায় কিছুটা পরিবর্তন এনে আরও দুটি দাবি যোগ করেছেন তারা।

ad

পাঠকের মতামত