304006

‘দ্বিতীয়বার বিদেশিনী বিয়ে করলে দেখছি লোকে নোবেল পায়’

বিজেপি নেতা ও মোদি সরকারের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের পর অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন এবার আরেক বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। শুধু সমালোচনা করেছেন বললে ভুল হবে, নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কটাক্ষও করলেন এ বিজেপি নেতা।

রাহুল বলেন, ‘দ্বিতীয়বার বিদেশিনীকে বিয়ে করলে দেখছি লোকে নোবেল পায়। অমর্ত্য সেনকেও দেখেছি।’

বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বলেন, ‘বামপন্থী অর্থনীতি এদেশে চলে না। মানুষ বামপন্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশে কোথাও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্ব কাজে লাগতে পারে। তবে ভারতে দারিদ্র্য দূর করতে উনি কোনো কাজে আসবেন না। ভারতে মহাত্মা গান্ধীর নীতিতেই আর্থিক উন্নতি সম্ভব।’

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই নোবেল পাওয়া স্ত্রী এস্থার ডাফলো ছিলেন তার ছাত্রী। পরে ছাত্রীকে বিয়ে করেন অভিজিৎ। এর আগে তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন অরুন্ধতী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ফরাসি নাগরিক ও নিজ ছাত্রী ডাফলো’কে বিয়ে করেন অভিজিৎ। এ বিষয়টি নিয়েই মূলত অভিজিৎকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন রাহুল সিনহা।
এর আগে অভিজিৎকে বামপন্থী হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে তার সমালোচনা করেছেন পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় এই রেলমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নোবেল পাওয়ার জন্য ওনাকে শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু আপনারা সকলেই জানেন, উনি বামপন্থী মানসিকতার। উনি ন্যায় প্রকল্পের গুণগান গেয়েছিলেন। ভারতের মানুষ ওনার মতকে খারিজ করে দিয়েছে। বলে রাখি, কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্প রূপরেখা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তিনি নোবেল পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। বিশেষ করে ন্যায় প্রকল্পের মাহাত্ম্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে গেছে কংগ্রেস।’

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে অভিজিতকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন। আর রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছিলেন, ‘ভারতের আর্থিক উন্নয়নে ও দারিদ্র্য দূর করতে ন্যায় প্রকল্পের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন অভিজিৎ। তার বদলে এখন চলছে মোদীনীতি। যা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। বাড়ছে দারিদ্র।’

ad

পাঠকের মতামত