304061

জেলেদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ আদায়, এএসআই ক্লোজড

ভ্রাম্যমাণ আদালতে চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ জেলের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. দেলোয়ার ও কনস্টেবল মো. সুমনকে থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের দফতর থেকে এ আদেশ দেয়া হয়।

পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৎস্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে না নিয়ে ও ওসিকে না জানিয়ে এএসআই মো. দেলোয়ার ও কনস্টেবল মো. সুমন অভিযান চালিয়ে কয়েকজন জেলেকে আটক করেন। এরপর তাদের ছেড়ে দেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ ছাড়া তারা এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করতে পারেন না। এ কারণে এএসআই মো. দেলোয়ার ও কনস্টেবল মো. সুমনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উৎকোচ নিয়ে জেলেদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল কি-না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরএককরিয়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জ থানার এএসআই দেলোয়ারের নেতৃত্বে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন পুলিশ সদস্য চরএককরিয়া এলাকায় যান। এ সময় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লালখারাবাদ নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে জাল ও মাছসহ চার জেলেসহ ১০ জনকে তারা আটক করেন। এরপর প্রত্যেক জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন এএসআই দেলোয়ার। একই সঙ্গে আটক জেলেদের পরিবারের সদস্যদের টাকা নিয়ে আসতে খবর দেন দেলোয়ার। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসার পর ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ১০ জেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে জাল এবং মাছ নিয়ে যান এএসআই দেলোয়ার।

পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত এএসআই দেলোয়ারের বিচারের দাবিতে মেহেন্দিগঞ্জের পোলতাতলী বাজারে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে।

তবে এএসআই দেলোয়ার জানান, চরএককরিয়া এলাকার কোনো জেলেকে তিনি আটক করেননি, কারও কাছ থেকে টাকাও নেননি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলে তিনি জানান।

ad

পাঠকের মতামত