303770

অপরাধ দমনে মালয়েশিয়াকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ

মালয়েশিয়া সম্পর্কে অপপ্রচারে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দেশটির আইজিপি তানশ্রী আব্দুল হামিদ বদর। বুধবার (১৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনাকালে এ উদ্ধেগ প্রকাশ করেন তানশ্রী আব্দুল হামিদ।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় থেকে কিছু অপরাধমূলক কাজ করা হচ্ছে যেমন- অপহরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার; যা উভয় দেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। সামাজিক যোগাযোগ ও সংবাদমাধ্যমে মালয়েশিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল তথ্য পরিবেশন করায় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং প্রোপাগান্ডাসহ যেকোনো প্রকার আইনবহির্ভূত কাজে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, অপরাধ দমনে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

আলোচনায় হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, উভয় দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর।

মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান দেশটির উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, তারা অনেক পরিশ্রমী, দক্ষ এবং সৎ। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে সফল হওয়া এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। উভয়ের মধ্যে গ্রেফতার, ইমিগ্রেশন, ডিটেনশন, কর্মী, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ে আলোচনা হয়।

হাইকমিশনার উভয় দেশের পুলিশের মধ্যে প্রশিক্ষণ সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি বিনিময় করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিষয়টি দেশটির পুলিশপ্রধান সাদরে গ্রহণ করে বলেন, মানবপাচার, কাউন্টার টেরোরিজম, অপরাধদমন এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি জানান, শিগগিরই মালয়েশিয়া পুলিশের একটি দল বাংলাদেশ সফর করবে।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের কিছু কর্মী বাজে এজেন্ট/ব্যক্তি/গ্রুপের খপ্পরে পড়ে প্রতারণার শিকার হন। তিনি বলেন, গ্রেফতারের কিছুদিন পর কোম্পানি ও কাগজপত্র থাকা সাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয়। এ-রূপ ক্ষেত্রে তল্লাশির সময় তাদের গ্রেফতার না করার জন্য অনুরোধ করেন। ডিটেনশন সেন্টারে যারা রিমান্ড এবং অনেকে মামলার সাক্ষী হিসেবে মাসের পর মাস অপেক্ষা করে তাদের ছেড়ে দেয়া বা দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

বিশেষ করে কাউকে মামলার সাক্ষী হিসেবে ডিটেনশন সেন্টারে না রেখে বাইরে থাকার এবং কাজ করার অনুমতি দিতে অনুরোধ করা হলে আইজিপি বলেন, তিনি এ বিষয় বিবেচনা করবেন এবং ইমিগ্রেশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া আগমনের পর বিমানবন্দরে অনেক সময় বাংলাদেশের টুরিস্টদের প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়, তখন বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আইজিপি ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শ্রম-২) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল এবং প্রথম সচিব (পলিটিক্যাল) রুহুল আমিন। এছাড়া মালয়েশিয়া পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক দাতো হুজির বিন মোহামেদ, পুলিশ সেক্রেটারি দাতো রামলি মোহামেদ ইউসুফ এবং ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের প্রধান দাতুক গোহ বন কেংসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত