303764

দোষ প্রমাণিত হলে সন্তানের শাস্তি চান আসামি সাদাতের বাবা

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার এজাহারে থাকা ১৭ নম্বর আসামি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই উত্তরপাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে নাজমুস সাদাতের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জানা যায়, তার উদ্দেশ্য ছিল কাটলা সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মধ্যরাত ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার একটি দল দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কাটলা বাজার এলাকা থেকে সাদাতকে তার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার।

সাদাতের বাবা হাফিজুর ২০০৭ সাল থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছেন। বর্তমানে হাজী মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করছেন। এর আগে তিনি জয়পুরহাট রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। সাদাতের বাবা হাফিজুর রহমান জানান, সাদাত পরিস্থিতির স্বীকার, তবে দোষ প্রমাণিত হলে অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।

সাদাতের চাচা ওবাইদুর রহমান বলেন, সাদাত যদি অপরাধী হয় তাহলে আইন তার বিচার করবে, না হলে সে আমাদের মাঝে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে ফিরে আসুক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, সাদাত এর বাবা হাফিজুর রহমান অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শিবিরের রাজনীতি করতেন। পরবর্তীতে দলে সক্রিয় না হলেও কথাবার্তায় তিনি সবসময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতেন। এলাকায় তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। জয়পুরহাট জেলার মধ্যে কড়ই গ্রাম জামায়াত-শিবিরের জন্য উর্বর এলাকা বলেও তারা জানান।

প্রসঙ্গত, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গেল ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।

ad

পাঠকের মতামত