303080

বিতর্কিত যুবলীগ নেতা আনিস বহিষ্কার

শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিতর্কিত নেতা কাজী আনিসুর রহমানকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।

কাজী আনিসুর রহমান যুবলীগের দফতর সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি যুবলীগ অফিসের পিয়ন থেকে কেন্দ্রীয় নেতা বনে যান। তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে দলের কমিটির পদ-পদবি কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি-মাদক-ক্যাসিনো বিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে তিনি আড়ালে চলে যান। বর্তমানে আনিসের অবস্থান নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার। কেউ কেউ বলছেন, তিনি দেশত্যাগ করেছেন।

জানা গেছে, কাজী আনিস কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে যোগ দেন ২০০৫ সালে। বেতন ছিল মাসে ৫ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যখন আনিসের চাকরি হয়, তখন তিনি নেতাদের হুট ফরমায়েশ শোনার পাশাপাশি কম্পিউটার অপারেটরের কাজও করতেন। সাত বছর পর বনে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতর সম্পাদক।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ কাজী আনিস এখন একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক। আনিস যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ছাড়া কাউকে পরোয়া করতেন না। তার বেপরোয়া মনোভাবে যুবলীগ নেতাদের অনেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোণঠাসা।

যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠক শুরু হয় শুক্রবার বেলা ১১ টায়। এ বৈঠকে যোগ দেননি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে কাজী আনিসের বহিষ্কার অন্যতম।

জাতীয় কংগ্রেসের আগে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে সংগঠনটির অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সখ্যের তথ্য উঠে আসে। এছাড়া তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। তলব করা হয়েছে ব্যাংক হিসাব। এর পর থেকে রাজনীতি থেকে অনেকটাই আড়ালে চলে যান ওমর ফারুক। তার বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়।

সভা শেষে যুবলীগ নেতারা বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জি. নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূঁইয়া মাখন, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, শেখ আতিয়ার রহমান দীপু প্রমুখ।

ad

পাঠকের মতামত