303088

জেদ্দার কাছে ইরানি তেলবাহী ট্যাংকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সৌদি আরবের জেদ্দা শহরের নিকটে লোহিত সাগর উপকূলে একটি ইরানি তেলবাহী ট্যাংকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সৌদি আরবের লোহিত সাগর তীরবর্তী জেদ্দা বন্দরের কাছাকাছি এই হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে হামলার শিকার তেলবাহী ট্যাংকারটি ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির – এনওআইসি’র জাহাজ বলে জানা গেছে। জাহাজটি সৌদি উপকূল থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরে রয়েছে।

এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আক্রান্ত ইরানি তেলবাহী জাহাজে বড়সড় বিস্ফোরণ হয়। এতে ইরানি জাহাজ থেকে তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করছে ইরানের গণমাধ্যম।

ইরানের জাতীয় তেল ট্যাংকার কোম্পানি (এনআইটিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাবিতি নামের জাহাজটির বাইরের দিকের অংশে আলাদা দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ওই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এনআইটিসি জানিয়েছে, ট্যাংকারের সব কর্মীরা নিরাপদে রয়েছেন। জাহাজটিও স্থিতিশীল। জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে মধ্যপ্রাচ্যে নজরদারির দায়িত্বে থাকা মার্কিন পঞ্চম নৌবহরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট পাগানো বলেন, এই দুর্ঘটনার খবর ইতোমধ্যে তাদের কাছে এসেছে। এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। অবশ্য সৌদি আরবও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানায়নি।

উল্লেখ্য, হরমুজ প্রণালীতে সাম্প্রতিক তেল ট্যাংকারের রহস্যজনক একের পর এক হামলার পর এবার ইরানি জাহাজে এই হামলার ঘটনা ঘটলো। ইরানি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। এদিনের ঘটনা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হতে পারে বলে তারা সন্দেহ করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের ঘটনার পর ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বাড়বে আরো। গত কয়েক মাসে উপসাগরীয় এলাকায় বেশ কয়েকটি তেল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য সে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান।

ad

পাঠকের মতামত