303100

আবরারকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই পেটানো হয়েছিল, খুনি ইফতির স্বীকারোক্তি

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইফতি মোশাররফ সকাল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে ইফতিকে হাজির করেন আবরার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

আলোচিত এই হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ইফতিই প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। ইফতি বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে আদালতে গতকাল ১৬৪ ধারায় ইফতির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দি নেয়ার পর তাকে কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ইফতির জবানি রেকর্ডের আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে জানিয়েছেন, রিমান্ডে ইফতি স্বীকার করেছেন যে ছাত্রলীগের অন্যদের সঙ্গে তিনিও আবরারকে প্রহার করেছে। মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই আবরারকে পেটানো হয়েছিল।

ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রবিবার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা। তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা চকবাজার থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। পাশাপাশি গঠন করেছে একটি তদন্ত কমিটিও। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট শাখার সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত