302916

শিক্ষক সমিতির মিটিংয়ে স্যারদের কাঁদতে দেখেছি

সম্প্রতি বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহযোগী অধ্যাপক শিফুন নেওয়াজ। যেখানে উঠে এসেছে আবরার হত্যা এবং তার পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ভেতরে চলা বেশ কিছু ঘটনা প্রবাহ। বুয়েট থেকে পড়াশুনা শেষ করে সেখানেই বিগত ১২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন শিফুন নেওয়াজ।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮ টায় দেয়া ওই “ভুল বোঝার সময় নয়, সবাইকে জিততে হবে একসাথে” শিরোনামের ফেসবুক পোস্টে তিনি শিক্ষকদের বিশেষ করে হল প্রভোস্টদের নানা অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন। এখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, আবরার হত্যার পর শিক্ষক সমিতির মিটিংয়ে কয়েকজন শিক্ষক কেঁদেছেন।

তার ভাষায়, আমার সুযোগ হয়েছে, আবরার হত্যার পর বুয়েটে ছাত্রদের আন্দোলন দেখার আবার একই সাথে শিক্ষক সমিতির মিটিং এ উপস্থিত থেকে সমস্যার অন্য প্রকৃতি বোঝার। আমি দেখেছি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জেদ, সহিষ্ণুতা আর একতায় কিভাবে সিসিটিভি পুরো ফুটেজ আদায় করল, বুয়েটের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করার জন্য দুই দিন ধরে রাস্তায় বসে ছিল,…ঠিক একি ভাবে আমি দেখেছি, শিক্ষক সমিতির মিটিং এ কথা বলতে গিয়ে, কয়েকজন স্যার কে কাঁদতে, নিজেদের অসহায়ত্ব, সীমাবদ্ধতার মাঝেও চেষ্টা করার কথা এবং পরবর্তীতে নিজেদের দায়ী করে ছাত্রদের সামনে দাঁড়াতে…

তার ফেসবুক পোস্টের বাকি অংশটুকু হুবহু তুলে ধরা হলো-

আজ ছাত্ররা ছিল পরীক্ষক । … আজকের ঐ পরীক্ষায় কে পাশ করেছে বা কে ফেল করেছে, সে জায়গাতে আমার কিছু নিজস্ব মতামত আছে।… কারণ আমার মনে হয়, আমরা অনেক মাসুল দিয়ে আজ যে জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছি সেখানে কাউকে হারলে চলবে না,… আর এ জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে কয়েকটি প্রশ্ন যা তাদের মধ্যে একটা যৌক্তিক চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি করছে তার কিছু মতামত নিজের মত করে দিতে চাই।.

১)

শিক্ষার্থীদের একটা প্রশ্ন “ হলের এই সমস্যা গুলা প্রভোস্ট স্যার দের জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয় নাই কেন ?…… ইত্যাদি”

আজ শিক্ষক সমিতির মিটিং এ অনেক প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট স্যাররা বলেছেন তাদের প্রশাসনিক অসহায়ত্বের কথা। তারা ছাত্রদের কাছ থেকে অভিযোগ পান, সেটা নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতা তাদের কম ( আমি নিজেও আজ জানলাম) । যিনি ব্যবস্থা নিতে পারেন (ভিসি স্যার) এর কাছে তাদের বার বার গিয়ে সময় না পেয়ে ফিরে আসা, বা কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার কথা বলে রিপোর্ট দেবার পর ও সেই অনুযায়ী যার ব্যবস্থা নেবার কথা তিনি যখন কোন ব্যবস্থা নেন না, তখন ঐ প্রভোস্ট স্যারদের কি করার থাকে ?… আজ আরেক ভয়ানক কথা শুনলাম, এক ছাত্রলীগের কর্মীর বিরুদ্ধে নাকি অভিযোগ ছিল,… ভিসি স্যার নাকি ঐ হলে গিয়ে ঐ ছেলেকে দেখে (হাফপ্যান্ট পরা সিগারেট হাতে) আগ বাড়ীয়ে হ্যান্ডসেক করে আসে… তাহলে কিভাবে সামান্য এক প্রভোস্ট স্যার কোন ব্যবস্থা নিবেন… আরও অনেক কথা প্রভোস্ট স্যার রা বলেছেন, অনেক সময়, আগের DSW স্যার কে জানিয়েও কোন সুফল পান নাই। আজ জানলাম কিভাবে সব কিছুতে ছাত্রলীগের (হল/ বুয়েট শাখা) প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা থাকে, তারা চেষ্টা করেছেন কিন্তু সব কিছু ঐ একজনের কাছে গিয়ে আর আলোর মুখ দেখেনি… আমাদের মধ্যেও প্রশ্ন ছিল, তাহলে তারা কেন আগেই পদত্যাগ করেন নি ? , পরে পুরো ব্যাপার শুনে আমরা বুঝলাম তাদের পদত্যাগ টাই সমাধান না, যে আসবে সেও একি পরিস্থিতিতে পড়বে… কারণ প্রভোস্ট রা সমস্যা শুনে , রিপোর্ট দিতে পারে, উপরে জানাতে পারে, অথচ, যারা সমস্যার কারণ তাদের সাথে উপর ওয়ালার নাকি সরাসরি কানেকশন, কোন রিপোর্ট লাগে না… সেখানে স্যার রা অনেক কিছু চাইলেও পারেনা , আর না পারতে পারতে হয়ত আর চাইতেও যায় না। উল্লেখ্য, হলের যে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে আজ আমরা প্রমাণ করতে পারছি অনেক কিছু, সেই সিসিটিভি ফুটেজ, হল অফিসের বাইরে থেকে বন্ধ দরজার ভিতরে দুই জন শিক্ষক (সহকারী প্রভোস্ট, নাম মনে আসছে না) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগলে বসে ছিল। কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে যারা খুন করেছে তাদের লোক যেন নষ্ট করতে না পারে। অথচ গুজব ছড়াল যে, ফুটেজ নষ্ট করা হচ্ছে। …

২)

শিক্ষার্থীদের একটা প্রশ্ন “ বর্তমান DSW ( মিজানুর রহমান ) স্যার এ ধরনের ঘটনায় ব্যর্থ কিনা ? বা একটা ছবিতে ( যেটা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেয়া) যেখানে ঘটনার দিন রাত প্রায় ৩.৩০ নাগাদ স্যার কে প্রভোস্ট, খুনিদের কয়েকজন ও ডক্টর সহ দেখা যাচ্ছে সেখানে কি হচ্ছিল? ( কারো কারো মতে তিনি কি খুনিদের সাহায্য করছিলেন কি না?)

বর্তমান DSW ( মিজানুর রহমান ) স্যার এ ঘটনায় ব্যর্থ কিনা সে বিষয়ে বলব, স্যার এ দায়িত্ব পেয়েছেন মাত্র তিন মাসের কিছু বেশী। বুয়েট কিন্তু এই তিন মাসে এমন ভয়াবহ হয় নি। এটা অনেক দিনের (পূর্বে যারা এই পদে ছিলেন) অবহেলার, দেখে না দেখার বা সমস্যা যিনি সমাধান করবেন সেই ভিসি স্যার এর অসহযোগিতার ফল । আজ জানলাম DSW এর ক্ষমতা কি ? তিনি শুধু ছোট খাটো বিষয়ে তদন্ত বা রিপোর্ট করতে পারেন বা ব্যবস্থা নিতে পারেন। তিনি বেশ কিছু উদাহরণ দিয়েছেন যা তিনি করেছেন। এর বেশী কিছু করতে হলে সেটা পারেন ভিসি স্যার। ছাত্রদের এমন একটি বিষয় তিনি প্রায় একমাস আগে ভিসি অফিসে পাঠিয়েছেন তদন্ত কমিটি গঠন এর জন্য যা আজ ও হয়নি…… অর্থাৎ আমরা সবাই ঐ এক জায়গায় বন্দী। আজ মিটিং এ DSW স্যার এটাও বলেছেন “ আব্রার হত্যার ঘটনার সমাধান করার পর যদি বর্তমান ভিসি স্যার থাকেন তাহলে তিনি নিজে পদত্যাগ করবেন” … কতটা অসহযোগিতা পেলে মানুষ এমন করে বলে। তিনি এটাও বলেছেন যে এখন পদত্যাগ করতে চান না কারণ, এখন যদি পদত্যাগ করে তাহলে তিনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না, তিনি চান তার সময়ে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে , দ্বিতীয়ত এটা তদন্ত কাজেও সমস্যা করবে…। আমার কাছে বিষয়টি ভালো লেগেছে।

এবার আসি, কেউ কেউ সিসি টিভি ফুটেজ এ DSW ( মিজানুর রহমান ) স্যার , ডাক্তার, প্রভোস্ট সহ অন্যদের সাথে খুনিদের কয়েকজনে দেখিয়ে বলতে চাচ্ছে যে, তিনি খুনিদের সহযোগিতা করছেন। আমি মনে করি তারা ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করছেন না বিষয়টা। DSW স্যার কে যখন রাত ৩.১৫ মিনিটের দিকে হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্ট বাসায় এসে খবর দিল, তখনি তিনি তাদের সাথে নিয়ে চলে আসেন… তিনি যদি দেরি করতেন আমরা বলতে পারতাম দায়িত্বহীনটার পরিচয় দিয়েছেন, কিন্তু সেটা হয় নি। এখন হলে এসে তিনি কিভাবে জানবেন কে খুন করছে ? খুনি নিশ্চয়ই বলবে না বা গার্ড ত দেখেনি … এখন আমরা জানি কারণ আমাদের কাছে ফুটেজ আছে, কিন্তু তখন ঐখানে যারা ছিল সবার সাথে কথা বলা মানে ত খুনিদের সহায়তা করা না… । দ্বিতীয়ত শুনলাম স্যার পুলিশ আসা পর্যন্ত ছিলেন এবং সকাল ১১.০০ টা নাগাদ ছিলেন। ওখানে খুনি (পরে জানা গেছে) কারো সাথে স্যার এর কোন কথা হয়েছে কিনা বা কি কথা হয়েছিল সেটা আমরা জানি না।… ধরেন যদি কেউ বলেও থাকে যে সে এভাবে পিটায় ছেলে টাকে মেরেছে, তখন আমরা হলে কি করতাম, পুলিশ কে খবর দিতাম, যেটা ঐ সময় হল থেকে করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ আসা পর্যন্ত, যারা উপস্থিত তাদের থেকে যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। স্যার বলেছেন যে, তিনি ও সহকারী প্রভোস্ট স্যার সেটাই করছিলেন। বরং আমি মনেকরি রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠে এসে মাত্র তিন মাসের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতায় তিনি যে নিষ্ঠুরতা দেখেও মাথা ঠাণ্ডা রেখেছেন, সেটা ঐ সময়ে দরকার ছিল। তাই আমার মনে হয় আমরা নিজেদের বিচক্ষণতার পরিচয় দেই। কারণ এ ঘটনায় কেউ কেউ নিজের স্বার্থেও ব্যবহার করতে পারে। তিনি যদি আজ খুনিদের পক্ষে বলতেন তখন আমরা তাকে দোষ দিতে পারতাম, খুনি কে জানার পর তিনি ত তাদের পক্ষে কোন কথা বলেন নি… আমরা কেন ভুল ভাবে তাকে উপস্থাপন করব ?

মূলত DSW ( মিজানুর রহমান ) স্যার কে আমি চিনি দীর্ঘদিন। কারো সাথে রেগে কথা বলতে দেখি নাই, আমার মনে হয় অন্য কেউ ও দেখে নাই। এবং স্যার এর কাছে সবাই অ্যাক্সেস পায়। তার উপর উনার বর্তমান পদটি ই হল “ ছাত্র কল্যাণ পরিচালক”, অর্থাৎ ছাত্রদের নিয়েই সব কাজ, সে যেই দলের হোক বা যেই হোক। সেই জায়গা থেকে তিনি অনেক ছাত্রকে অন্য সবার চাইতে বেশী চিনবেন বা ছাত্ররা তার কাছে বেশী চাইবে এটাই স্বাভাবিক। সেই হিসাবে যে/যারা খুন করেছে ( ফুটেজ দেখে পরে প্রমাণিত) তারা স্যারের পরিচিত হতে পারে, তার সাথে ঐ সময় সেই রাতে স্যার কথা ও বলতে পারে , তার মানে ত এই না যে, তিনি আগে থেকেই সব জানেন আর তাদের কোন ভাবে সাহায্য করেছেন… তাছাড়া সেখানে একজন ডাক্তার, প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট, দারোয়ান সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিল। একটু বোঝার চেষ্টা করি।

৩)

শিক্ষার্থীদের একটা প্রশ্ন “ আমরা (শিক্ষকরা) কেন এতদিন প্রতিকার করি নি, আমরা কি ভয় পেয়েছিলাম”?
হলে আবাসিক ছিলাম না, আর পাশ করার পর আজ ১২ বছর হলে যাওয়া হয় নাই… গত কয়েক বছর হলের অবস্থা ভালো না, বা রাজনৈতিক বিষয় গুলা, হিংসা প্রবল সেটা মোটামুটি কিছুটা জানতাম। তবে আজ এর ভয়াবহতা কত সেটা জানলাম যখন প্রভোস্ট স্যার রা মিটিং এ বিভিন্ন ঘটনা বললেন তখন। এবং জানলাম ছাত্রলীগ ( বুয়েট) কিভাবে সব কিছুতে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইত। এবং শুনলাম প্রভোস্ট স্যার বা DSW স্যার দের কিছু চেষ্টার কথা। পাশাপাশি এটাও জানলাম কেন এই চেষ্টা দীর্ঘমেয়াদি ফল পায় না। কারণ, যিনি বা যার কাছে কার্যকর ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতা আছে তিনি বুয়েট এর স্যারদের সময় দেন বা না দেন, ছাত্রলীগের জন্য সব সময় উন্মুক্ত। আসলে হয়ত স্যার রা ভয় পায়, বা হয়ত বা বার বার বিফল হয়ে চেষ্টা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে… তারা এখন শুধু অর্পিত দায়িত্ব পালন করা যান, ঝামেলা চান না… কারণ ঝামেলায় পরলে যিনি রক্ষা করবেন সেই ভিসি স্যার কে পাওয়া যাবে না…। যেমন আব্রার পায় নি তার মৃত্যুর পরেও …

তবে, আজ একটা বিষয় মনে হচ্ছে, সবার মধ্যে থেকে ভয় টা চলে গেছে… আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বুয়েটে ছাত্র, শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করার…স্যাররা সবাই এ পরিস্থিতির দায়িত্ব মাথাপেতে নিয়েছেন… এ বিষয়ে সরকারের ও সহযোগিতা চেয়েছি… আর ছাত্র রাজনীতির অনেক ভালো উদাহরণ আমাদের আছে, কিন্তু আমরা এখন সেটা থেকে অনেক দূরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে যে শুদ্ধাচার শুরু করেছেন সেটা আমাদের জন্য একটা উদাহরণ। এছাড়াও আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে…

৪)

শিক্ষার্থীদের একটা প্রশ্ন “ এতক্ষণ ধরে আবরারকে মারল, বা সিসিটিভি তে দেখা গেল তারপরও কেন কেউ / স্যার রা আসলো না”

আসলে আমার মনে হয়, স্যার রা জানবে কিভাবে, কেউ ত তখন তাদের জানায় নাই। সিসিটিভি তে আবরার কে মেরে নিয়ে যাবার ঘটনা তিনবার আসছে এবং খুব অল্প সময়ের জন্য। গার্ড হয়ত ঐ সময় স্ক্রিন এর দিকে তাকায় নাই তাছাড়া তখন বাজে রাত ১ টার বেশী… কেউ যদি না দেখে বা না জানায় , এমন কি আবরার কে যখন মারা হয় তখন তার চিৎকার শুনেও ত কেউ প্রভোস্ট দের জানায় নাই… যদি কেউ জানাত আর যদি কেউ না আসত তাহলে বলতে পারতাম… আজ ত DSW ( মিজানুর রহমান ) স্যার বলছেন যে, তিনি যদি একবার জানতেন বা কেউ যদি তাকে আগে একবার জানাত তিন সেই রুম পর্যন্ত অবশ্যই যেতেন। সবাই ত জানল শেষে…

আমরা চাই, অনেক কষ্ট পেয়ে যে আবরার চলে গেছে, আজ থেকে অনেক বছর পর আমরা যেন বলতে পারি সেই আবরার আমাদের দিয়েছে একটা সুন্দর, স্বপ্নের বুয়েট, যা ছিল আমাদের গর্ব।

… লেখাটি কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ বা পছন্দ বা অপছন্দ করে নয়… আজ যা জানলাম তা নিজের মত করে বলা। যতটুকু জানি, বুজেছি ততটুকুই। আমি এই প্রশ্নের উত্তর দেবার কেউ না, তবুও নিজের মতামত দিলাম যাতে আমরা ভুল বোঝার কারণে মূল সমস্যা থেকে সরের যাই। আমরা যে খুনি তাকে খুনি বলব, অযথা যেন কারো উপর অবিচার না করি… কারণ সীমাবদ্ধতা সবার ই আছে…

ধন্যবাদ বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রী দের। তার প্রথমে শুনেছে এরপর সুশৃঙ্খল ভাবে প্রশ্ন করেছে, স্যার রা যতটুকু পেরেছে বলেছে… যে সুন্দর বুয়েটের দিকে অনেক দাম দিয়ে অনেক পরে আমরা যাত্রা করছি, সে পরীক্ষায় সবাইকে জিততে হবে একসাথে।

ad

পাঠকের মতামত