302527

যে আমলকারীর জন্য জান্নাতের ৮ দরজাই খোলা থাকে

ঈমানের সঙ্গে জীবন-যাপন অনেক কঠিন কাজ। আর ঈমানের সঙ্গে অল্প বা ছোট আমলই মানুষের নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেছেন-
‘তোমার ঈমানকে খাঁটি করো, অল্প আমলই নামাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণায় এমন একটি ছোট আমল রয়েছে। যে আমলটি করলে আল্লাহ তাআলা আমলকারীর জন্য জান্নাতের ৮টি দরজাই সব সময় খোলা রাখবেন। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করছেন-

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি (ঈমানের সঙ্গে) পূর্ণাঙ্গভাবে ওজু করে এবং তারপর বলে-
اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ انَّ مُحَمَّدً عَبْدُهُ وَ رَسُوْلُهُ
উচ্চারণ : ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
তার (ওই ব্যক্তির) জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেয়া হবে। (সে) যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা, প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম, তিরমিজি)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য অসংখ্য উপদেশ দিয়েছেন। শুধু ওজুর ফজিলত প্রসঙ্গেই অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত হাদিসে ঘোষিত ছোট ছোট আমলগুলো দ্বারা নিজেদের নাজাতের পথকে প্রশস্ত করে নেয়া।

ওজু করা ইবাদত হিসেবে ছোট্ট ও সহজ হলেও এর রয়েছে অনেক বড় সাওয়াব। যে ইবাদত ও আমলের মাধ্যমে মানুষ গোনাহ মুক্ত হয়ে যায় বলেও ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি। তিনি বলেছেন-

‘(মুসলিম বা মুমিন) বান্দা ওজু করার সময়, যখন সে মুখমণ্ডল ধোয় তখন পানির সঙ্গে সে সব গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে দু’চোখ দ্বারা করেছিল। (আবার) যখন সে দুই হাত ধোয় তখন হাত দ্বারা সংঘটিত গোনাহ ওজুর পানির সঙ্গে বের হয়ে যায়।, যখন সে দুই পা ধোয়, তখন পা দ্বারা সংঘটিত গোনাহ পানির সঙ্গে বের হয়ে যায়। এভাবে সে (ওজুকারী) গোনাহমুক্ত জীবন লাভ করে।’ (মুসলিম)

শুধু তা-ই নয়, কেয়ামতের ময়দানে অগণিত-অসংখ্য মানুষের মধ্য থেকে মুমিন-মুসলমানকে বের করবে আনবেন এ ওজুর ইবাদতকারীদেরকেই। যারা দুনিয়াতে ওজুর আমল ও ইবাদত জারি রাখবে, কেয়ামতের দিন সেসব বান্দার ওজুর স্থান- মুখ, হাত, মাথা ও পা ইত্যাদি নূরের আলোকে জ্বলবে। যা দেখে মুমিনদের চিহ্নিত করা হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক আমল-ইবাদতসহ সব সময় ওজু অবস্থায় থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ওজুর ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ad

পাঠকের মতামত