302370

শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষের ভিডিও নিয়ে তোলপাড় (ভিডিওসহ)

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে উচ্চমান সহকারীর (কথিত বড় বাবু) মাধ্যমে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ, সেই ঘুষের ভিডিও ভাইরাল হয়ে সারা দেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুনের অপকর্মের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে দূরবর্তী স্থানে বদলি এবং বিভাগীয় শাস্তির জন্য সুপারিশ করে মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।

বিভাগীয় উপ-পরিচালক উচ্চমান সহকারী গোলজার হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলি করে সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি লিখেছেন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু জোর তদবিরের কারণে এখন পর্যন্ত মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতিসহ বিশিষ্টজনরা। এ ছাড়া শিক্ষকদের মধ্যেও যেমন চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে, তেমনি ক্ষুব্ধ মর্জিনা খাতুন এখন সদম্ভে শিক্ষকদের ওপর এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি আরও পেরোয়াভাবে চড়াও হয়েছেন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) মর্জিনা খাতুন সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাঁথিয়া উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি সন্দ্বীপে শাস্তিমূলক বদলি ছিলেন এবং তার আগের কয়েকটি অপকর্মের সুরাহা হওয়ার আগেই তদবির করে সন্দ্বীপ থেকে সাঁথিয়ায় বদলি হয়ে আসেন বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শিক্ষকদের বদলি মৌসুমে (জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পান) সাঁথিয়ায় এসেই তিনি বদলি ইচ্ছুকদের হয়রানি শুরু করেন। তিনি কেরানি (সদ্য বদলিকৃত) গোলজার হোসেনের ও কয়েকজন চিহ্নিত দালাল শিক্ষকের মাধ্যমে টাকা নিয়ে বদলির সুপারিশ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠান।

আর যারা তার অনুগত কেরানি গোলজারের মাধ্যমে তাকে টাকা দেননি তারা চরম হয়রানির শিকার হন। বাধ্য হয়ে অনেক শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। কেউ কেউ জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বদলির সুযোগ পান। এমনকি তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান একদিন মর্জিনা খাতুনের অফিসে এসে তার অপকর্মের প্রতিবাদ করেন। এরপরই প্রতিমা ঘোষ নামে একজন প্রধান শিক্ষিকা সুজানগর থেকে সাঁথিয়ায় বদলি হয়ে আসার সুযোগ পান।

দলি মৌসুমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন প্রতিটি বিদ্যালয়ে আসা স্লিপ কর্মসূচি (বিদ্যালয় প্রতি ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ), রুটিন মেইনটেন্যান্স (বিদ্যালয় প্রতি ৪০ হাজার টাকা), প্রাক-প্রাথমিক (বিদ্যালয় প্রতি ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ) ও বিদ্যালয় মেরামত (নির্বাচিত সব বিদ্যালয় প্রতি বরাদ্দ ২ লাখ টাকা) টাকা নিয়ে বিশাল বাণিজ্য শুরু করেন। যারা তার ডান হাত কেরানি গোলজারের (সম্প্রতি স্ট্যান্ড রিলিজ) কাছে ১০ শতাংশ হারে ঘুষ দিয়েছিলেন তারা দ্রুত টাকা পেয়ে যান। কিন্তু যে সব শিক্ষক ঘুষের টাকা দিতে বিলম্ব করেন তাদের প্রতি তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাদের টাকা দেননি। এ ক্ষেত্রে তিনি ভয়াবহ কিছু আর্থিক অনিয়ম করেছেন। যাতে তার চরম শাস্তি হওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষার কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

অথচ অদৃশ্য সুতার টানে তিনি এখনও সাঁথিয়ায় স্বপদে বহাল তবিয়তে। তিনি এখন তার অপকর্মের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় কথা বলা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের টুঁটি চেপে ধরেছেন। এরই মধ্যে দু’জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাঁথিয়া থেকে বদলি হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ দুই কর্মকর্তার একজন তার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তার আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ করে আবেদন করেছিলেন। আর একজন মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন।

সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে মর্জিনা খাতুনের ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সাঁথিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথাসময়ে স্লিপ প্রোগ্রামের টাকা ছাড় করেননি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এ টাকা ছাড়ের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তিনি তা লঙ্ঘন করেছেন।

১৭৫টি স্কুলের বিপরীতে বরাদ্দকৃত স্লিপসহ ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা তিনি (মর্জিনা খাতুন) অবৈধভাবে নিজের অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন। স্কুলপ্রতি খাতওয়ারি ২-১৫ হাজার টাকা প্রধান সহকারীর মাধ্যমে উৎকোচ নিয়ে ছাড় করছেন। যে সব স্কুল ঘুষ দিতে অস্বীকার করছে তাদের টাকা আটকে রাখা হয়েছিল।

এই ঘুষ লেনদেনের মৌসুমে অফিসে বসে কেরানি গোলজারের প্রকাশ্য ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন ও কেরানি গোলজারকে আটক করে শাস্তির দাবি ওঠে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনার সব অনিয়ম উল্লেখ করে মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তাতেও এ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র, ভুক্তভোগী শিক্ষক ও বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং এসএমসি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয় প্রতি স্লিপ বরাদ্দ এসেছে বিদ্যালয়ের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। রুটিন মেইনটেন্যান্স (টুকটাক মেরামত) বাবদ অধিকাংশ স্কুল পেয়েছে ৪০ হাজার টাকা। আর বড় মেরামত বাবদ অনেক স্কুলে সরকারি বরাদ্দ এসেছে ২ লাখ টাকা করে। এ সব টাকা চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব স্কুলের হিসাব নম্বরে স্থানাস্তরের কথা। এমনকি স্লিপের টাকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে আসার ৩ দিনের মধ্যে সব স্কুলের হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করার কথা। স্কুলের হিসাব নম্বর পরিচালিত হয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মর্জিনা খাতুন) কোনোরকম নিয়ম-কানুন মানেননি। তিনি ৩০ জুনের মধ্যে একটি স্কুলেও কোনো টাকা ছাড় করেননি। বরং সে টাকা তিনি নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গত ২৫ জুলাই এক লিখিত নির্দেশে তাকে ৩ দিনের মধ্যে সব বিদ্যালয়ের স্লিপ প্রোগ্রামের টাকা যথানিয়মে সব বিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে স্থানাস্তরের নির্দেশ দিলেও তিনি তা আমলেই নেননি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নেয়ার পর তিনি প্রধান সহকারী গোলজার হোসেনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের খবর দিয়েছেন টাকা তুলে নেয়ার জন্য। এ ক্ষেত্রে তাদের শর্ত ছিল স্লিপের টাকার চেকের জন্য বিদ্যালয় প্রতি ৬ হাজার, রুটিন মেইনটেন্যান্সের চেকের জন্য বিদ্যালয় প্রতি ৬ হাজার টাকা, ওয়াশ ব্লক মেরামত চেকের জন্য জন্য ২-৩ হাজার টাকা দিতে হবে। আর মেরামত কাজের জন্য বিদ্যালয় প্রতি ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। এটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অংশ। আর কেরানি গোলজারকে আলাদা করে প্রত্যেক খাতওয়ারি ঘুষ দিতে হবে।

এদিকে তার (মর্জিনা খাতুন) অফিসে কর্মরত সব সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুনের অসদাচরণে তারা অতিষ্ঠ। তারা জানান, তিনি (মর্জিনা খাতুন) সব কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করে কথা বলেন। নিজের রুমে হাজিরা খাতা রেখে তালাবদ্ধ করে রেখে দেন। এতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে পারেন না। পরে তিনি তাদের অনুপস্থিত দেখিয়ে গালিগালাজ করেন। তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা সবাই সাঁথিয়া থেকে বদলি হওয়ার কথা ভাবছেন বলে তারা জানান।

এরই মধ্যে দু’জন বদলি হয়ে চলে গেছেন। তারা জানান, এ উপজেলা কর্মকর্তা (মর্জিনা খাতুন) সাঁথিয়া আসার আগে শাস্তিমূলক বদলি হয়ে ভোলা জেলার সন্দ্বীপে ছিলেন। সেখানেও তার বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।

এদিকে সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুনের দুর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। দুটি টিভি সাক্ষাৎকারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন ও কেরানি গোলজার একে অপরকে দোষারোপ করে ঘুষের সত্যতাও প্রমাণ করে দেন।

কেরানি গোলজার হোসেন জানান, তিনি সব অনিয়ম করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুনের নির্দেশ মোতাবেক।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন জানান, এ অফিসে আগেও তো দুর্নীতি চলত। প্রশ্ন করা হয় এ জন্য তিনি দুর্নীতি করেছেন? এ প্রশ্নে তিনি সব দোষ কেরানি গোলজারের ওপর চাপিয়ে দেন।

এ সব ঘটনার পর গত ২৫ আগস্ট উচ্চমান সহকারী গোলজার হোসেনকে সাঁথিয়া থেকে শাস্তিমূলক জয়পুরহাটে বদলি করেন রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক। আর মর্জিনা খাতুনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি জানিয়ে মহাপরিচালক অফিসে চিঠি দেন। কিন্তু তার কিছু হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এতে মর্জিনা খাতুন আরও বেপরোয়া হয়ে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে স্লিপের টাকায় কেনা নির্দিষ্ট কিছু বই মহাপরিচালকের দফতর থেকে এক চিঠিতে বাতিল করা হয়। কিন্তু সাঁথিয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে সেই বইয়ের টাকা ফেরত দেননি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন। বিদ্যালয় প্রতি ১ হাজার ৬শ’ টাকা হিসেবে প্রায় ৩ লাখ টাকা এখন তিনি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন বলে সূত্র জানায়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মনসুর রহমান জানান, তার (মর্জিনা খাতুন) বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ। তার মতো কর্মকর্তা তিনি তার চাকরি জীবনে দেখেননি। মর্জিনা খাতুনকে তার সব অনিয়মের জন্য কয়েক দফা মৌখিক সতর্কসহ লিখিত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করে মহাপরিচালকের অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর বেশি তার পক্ষে কী-ই বা করার আছে?

মর্জিনা খাতুন এখনও স্বপদে বহাল তবিয়তে থাকায় বা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে পাবনা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ বলেন, এটি দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে একটি হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা।

সাঁথিয়ার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদ আলাউল হোসেন বলেন, অনেক রাঘব বোয়ালের বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ক্ষমতা কত বড় যে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

একই অভিযোগে শাস্তিমূলক বদলিকৃত গোলজার হোসেন এবং তার সহকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, শুনেছি পানি নিচের দিকে গড়ায়। এ ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার কয়েকজন কর্মচারী বলেন, মর্জিনা খাতুনের নির্দেশে গোলজার কাজ করে শাস্তি ভোগ করছেন। কিন্তু মর্জিনা খাতুন রয়েছেন বহাল তবিয়তে। সূত্র ও ভিডিও : যুগান্তর।

ad

পাঠকের মতামত