302186

প্রেমের এ কেমন ভয়ানক পরিণতি!

প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়। ঠিক তেমনি এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুরে।জানা গেছে, সোহাগ ও জুলিয়া পরস্পরকে ভালোবাসতেন। তারা দুজনই রাজশাহীতে পড়ালেখা করতেন। সোহাগ পড়তেন পলিটেকনিক্যালে আর জুলিয়া সিটি কলেজে। সোহাগ জুলিয়াকে বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার সোহাগের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অবস্থান নেন জুলিয়া। এত তাড়াতাড়ি জুলিয়ার এ ধরনের পদক্ষেপে হতচকিত হন সোহাগ।প্রেমিকের বাড়িতে সারাদিন না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জুলিয়া। সোহাগের পরিবার কোনোভাবেই জুলিয়াকে মেনে নিতে রাজি ছিল না।

এদিকে সোহাগের বাড়িতে অবস্থান নেয়া জুলিয়াকে দেখতে আসেন শত শত মানুষ।পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে দুপক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে দুদফা বৈঠকও হয় মীমাংসার জন্য।

কিন্তু নানা গুঞ্জন, চাপ আর ক্ষোভে দুঃখে সোহাগ রাত সাড়ে ১২টার দিকে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।এদিকে প্রেমিকের আত্মহত্যার কথা শুনে শুক্রবার সকালে হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জুলিয়া। তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।

সোহাগ পৌর সদরের আনন্দনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে ও জুলিয়া খামারনাচকৈড় মহল্লার জহুরুল ইসলাম ওরফে দুদু ড্রাইভারের মেয়ে।এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম।

ad

পাঠকের মতামত