302104

ইয়াসিনের জোড়া গোলে আবারও ভুটানকে হারালো বাংলাদেশ

ভুটানের বিরুদ্ধে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ জিতেই কাতারের মুখোমুখি হতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। তার সে আশা পূরণ হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ হারিয়েছে পাহাড়ি দেশটিকে। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ৪-১ গোলে, দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ের ব্যবধান ২-০। আজ (বৃহস্পতিবার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই অর্ধে দুই গোল করে ভুটানের বিরুদ্ধে জয়ের পাল্লাটা আরো ভারি করলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

জয় তো পেয়েছি- ভুটানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের পর এতটুকু স্বস্তিই ছিল বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে’র। কারণ ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচে যেভাবে ভুটানকে কোনঠাসা করে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ শেষটা সেভাবে পারেনি। ২-০ গোলে জিতলেও খেলায় সেই ধার ছিল না জেমি ডে’র শিষ্যদের।

বুধবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের কোচ পেমা বলেছিলেন, আবহাওয়া ও মাঠ ভালো থাকলে তাদের খেলায়ও পরিবর্তন দেখা যাবে। আজকের মাঠ সেই অর্থে ভুটানের মনমতোই ছিল। তাই প্রথম ম্যাচের চেয়ে এ ম্যাচে বেশ ভালোই খেলেছে তারা। যে কারণে জামাল ভূঁইয়ারাও সেভাবে তেড়েফুঁড়ে খেলার সুযোগ পায়নি।

জেমি ডে’র স্বস্তি যেমন আছে, তেমন আছে অস্বস্তিও। কারণ, দুই গোলই এসেছে ডিফেন্ডারের মাথা থেকে। ২৩ মিনিটে রায়হান হাসানের থ্রো ইন থেকে ইয়াসিন খান হেডে করেন প্রথম গোল। দ্বিতীয় গোল আরিফুলের তুলে দেয়া বলে মাথা ছুঁইয়ে ৬৭ মিনিটে, সেই ইয়াসিনেরই। আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের গোল না পাওয়া কোচের জন্য অবশ্যই অস্বস্তির। প্রথম ম্যাচের চার গোলের সবগুলোই করেছিলেন ফরোয়ার্ডরা- দুটি জীবন, একটি করে রবিউল ও সুফিল।

একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় ম্যাচের দল সাজিয়েছিলেন কোচ জেমি ডে। ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করা গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার পরিবর্তে এ ম্যাচে কোচ রেখেছিলে শহিদুল আলম সোহেলকে। ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের পরিবর্তে একাদশে রাখেন সুশান্ত ত্রিপুরাকে এবং মধ্যমাঠে ইব্রাহিমের পরিবর্তে একাদশে রেখেছিলেন রবিউল হাসানকে।

আগামী ১০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কাতারের বিরুদ্ধে এবং ১৫ অক্টোবর কলকাতায় ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবেই ভুটানের বিরুদ্ধে এই দুইটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ।

বাংলাদেশ দল-শহিদুল আলম সোহেল, রহমত মিয়া (ইয়াছিন আরাফাত), ইয়াসিন খান, সুশান্ত ত্রিপুরা (রায়হান হাসান), রিয়াদুল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ, সোহেল রানা, রবিউল হাসান (ইব্রাহিম), সাদ উদ্দিন (সুফিল) ও নাবিব নেওয়াজ জীবন (আরিফুর)।

ad

পাঠকের মতামত