302018

স্টেন্ট না বসিয়েও হৃদরোগীর দীর্ঘায়ু সম্ভব, শোরগোল ফেলে দিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অকারণে স্টেন্ট বসিয়ে শরীরকে ব্যতিব্যস্ত করা একেবারেই নৈব নৈব চ। শুনে আশ্চর্য হলেন? হ্যাঁ, ঠিকই তাই দাবি করছেন মার্কিন মুলুকে ওকলাহোমাতে গবেষণারত ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানী মোহন মল্লিকার্জুনা রাও এদুপুগান্তি।

শুধু দাবিই নয়, নিজের বক্তব্যের সমর্থনে একাধিক গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে American College of Cardiology, Eurointervention, Journal of Invasive Cardiology-তে। খবর এই সময়।

আদতে হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা এই উদ্ভাবক ভারতীয় মনিপাল চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। বর্তমানে VA (Veterans Affairs) Medical Center Oklahoma City -তে কর্মরত।সেখানেই এই চিকিৎসক-গবেষক নিজস্ব গবেষক দলের সঙ্গে দীর্ঘ কাজ করেন এই তত্ত্ব নিয়ে।

তিনি রোগীদের শরীরে অ্যাডিনোশিন নামে বিশেষ একটি রাসায়নিক ইঞ্জেক্ট করেন। এর ফলে রোগীদের আর্টারি দিয়ে রক্ত চলাচল কতটা পরিবর্তন হয় তা মেপে দেখা হয়। এর জন্য বিশেষভাবে ফের একটা অতি ছোট যন্ত্র আর্টারিতে ঢোকানো হয়। ফলাফল নথিভুক্ত করা হয়।
এই পদ্ধতির নাম ফ্লুইড ফ্লো রিজার্ভ বা এফ এফ আর।

আসলে, রক্ত চলাচলের পথ স‌ংকীর্ণ হলে সেটাকে চিকিৎসার ভাষাতে স্টেনসিস বলে। গবেষণায় দেখা যায় ‘এফ এফ আর’-এর ফলাফল নির্দিষ্ট কিছু পরিমাপের বেশি হলেই স্টেনসিস বিপজ্জনক হয়। সেই রোগীদের স্টেন্ট বসাতে হয়।এরপর গবেষকরা ফলাফল ম্যাপিং করে একটা সূত্রও উদ্ভাবন করেছেন।

মোহনের দাবি, “হৃদযন্ত্রের রোগীদের সব সময় স্টেন্ট বসানো জরুরি নয়। এফ এফ আর -এর ফলাফল দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব। যদি স্টেনসিস বিপজ্জনক না হয় তাহলে স্টেন্ট বসানো এক্কেবারেই জরুরি নয়। এতে খরচ কমে এবং রোগীদের আয়ু বাড়ানো সম্ভব। এমনকি প্রায় ৭০-৮০% ব্লক থাকলেও স্টেন্ট এড়ানো সম্ভব।”

মোহনের এই তত্ত্ব সমর্থন করেন দেশের কার্ডিওলজিস্টদের অনেকেই। যেমন কলকাতার শীর্ষ কার্ডিওলজিস্ট কুণাল সরকারের বক্তব্য যে তথ্য অনুযায়ী স্টেন্ট বসিয়ে হৃদরোগীদের আয়ু সেরকমভাবে বাড়ানো সম্ভব হয়নি। এই এফ এফ আর পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যে চর্চা চলছে সারা দেশে।

ad

পাঠকের মতামত