300592

ব্যাগে ভরে ফেলে রাখা শিশুকে উদ্ধার করলেন রিকশাচালক

মাত্র ৪০ দিন বয়সে পৃথিবীর নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি শিশু মনিষা। কে বা কারা ব্যাগে ভরে শিশুটিকে ফেলে রেখে গিয়েছিল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সীমানা প্রাচীরের ভেতর। কান্না শুনে পিতৃস্নেহে কন্যাশিশুটিকে উদ্ধার করেন এক রিকশাচালক। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে নগরের কাজীর দেওড়ীর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে ধুলোয় লুটিয়ে থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

শিশু মনিষার বয়স মাত্র ৪০ দিন। তার বাবা মানিক স্কুলশিক্ষক বলে জানা গেছে। বর্তমানে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৯ নম্বর বেডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মানিকের দাবি, নগরের মেহেদীবাগ এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে শিশুটিকে চু’রি করা হয়েছে।

উদ্ধারকারী রিকশাচালক জমির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুপুর সোয়া ১টার দিকে ভিআইপি টাওয়ারের অপর পাশে সার্কিট হাউজের সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে যাই। এসময় একটি সাদা ব্যাগের মধ্যে শিশু দেখতে পেয়ে চমকে উঠি। পরে কাজীর দেওড়ী মোড়ে দায়িত্বরত পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিশুটি পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমি রিকশা নিয়ে মেহেদীবাগের মেহেদী টাওয়ারের সামনে এসে মানুষের জটলা দেখতে পাই। লোকজন একটি শিশুর সন্ধান করছিলেন। আমি তাদের কিছুক্ষণ আগে শিশু উদ্ধারের ঘটনা জানালে তারা হাসপাতালে এসে শিশুটিকে নিজেদের বলে শনাক্ত করে।’

‘সীমানা প্রাচীরের ওপর দিয়ে কেউ একজন শিশুটিকে ব্যাগে ভরে ফেলে গেছে বলে ধারণা আমার’ বলেন রিকশাচালক জমির। এদিকে উদ্ধার হওয়া শিশুর বাবা মানিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। দুপুর ১টার দিকে মনিষাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর পাই। দেড়টার দিকে এক রিকশাচালক মনিষাকে উদ্ধারের বিষয়টি আমাদের জানায়। কীভাবে কী হয়েছে এখনো বুঝতে পারছি না।’

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, রিকশাচালক থেকে খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এখন বিষয়টি চকবাজার থানা দেখছে। এদিকে বিকেল ৩টার দিকে চমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু মনিষাকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মনিষা এখন ভালো আছে।

ad

পাঠকের মতামত