300256

কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই সরাসরি যেখানে নিয়ে যাওয়া হলো মিন্নিকে

মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনাদেশ পাওয়ার পর বরগুনা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হ*ত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আ’সামি হওয়া তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় মুক্তি পর কারা ফটকে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি শহরের মইঠা এলাকায় বাবার বাসায় নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান মিন্নি। এ সময় কারা ফটকের সামনে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর, ভাই আবদুল মুহিত কাফি, তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম এবং অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে হাইকোর্টের দেওয়া মিন্নির জামিনাদেশ বরগুনা আদালতে পৌঁছায়। হাইকোর্টের আদেশের সই করা কপি বরগুনার আদালতে এসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই মিন্নির পক্ষে জামিননামা (বেলবন্ড) দাখিল করেন তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম। এরপর সব দাফতরিক কাজ শেষ করে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জামিনাদেশ নিয়ে কারাগারে যান মিন্নির আইনজীবী আসলাম।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে এ মামলার ১৪ আ’সামিকে হাজির করা হয়। পরে আদালতের কার্যক্রম শেষে এ মামলায় গ্রেপ্তার ৬ কিশোরকে খুলনার শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে এবং অন্যদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর।

গত ২৯ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মিন্নির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।তবে জামিনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, মিন্নি তার বাবার জিম্মায় থাকবেন এবং মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।

ad

পাঠকের মতামত