300170

রবিবার থেকে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। আগামী রবিবার (১লা সেপ্টেম্বর) থেকে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করছে রেলওয়ে। যদিও আগেও ছাদে ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। তবে এবার কঠোর হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলমন্ত্রীর নির্দেশে এ কঠোরতার দিকে এগোচ্ছে রেলওয়ে। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ বন্ধের জন্য গঠন করা হয়েছে বিশেষ টাস্কফোর্স। ১ সেপ্টেম্বর থেকে টাস্কফোর্সের অভিযান শুরু হবে।

এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান জানান, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণে আর একটুও ছাড় নয়। এজন্য রেলওয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। রেলমন্ত্রী চীন সফরে যাওয়ার আগে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর রেলওয়ে পৃথক বৈঠকে টাস্কফোর্সে গঠন করে। এই টাস্কফোর্স টিম ট্রেন ছাড়ার সময় প্লাটফর্মে অবস্থান নিয়ে ছাদে ভ্রমণ রোধে কাজ করবে। এখন থেকেই স্টেশনগুলোতে মাইকিং শুরু হয়েছে। এছাড়া স্টেশনের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া প্রচার করা হচ্ছে।

এদিকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সেখানকার সাত জেলার প্রশাসককে অভিযান পরিচালনায় ম্যাজিস্ট্রেট দেয়ার জন্যও আবেদন করেছেন। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রত্যেকটি স্টেশনে বিশেষ নজরদারি করবে।

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোতে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল বিভাগ এরকম ১২টি স্টেশন চিহ্নিত করেছে। স্টেশনগুলো হলো- জয়দেবপুর, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম, ঈশ্বরদী, রাজশাহী, সান্তাহার পার্বতীপুর, লালমনিরাহাট, বোনারপাড়া, বগুড়া পঞ্চগড়, রংপুর ও দিনাজপুর। এসব স্টেশনে চলবে বিশেষ নজরদারি।

উল্লেখ্য, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ, অনিরাপদ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। ছাদে ভ্রমণের কারণে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে ভ্রমণকারীর মৃত্যু হতে পারে। ছাদে ভ্রমণের কারণে ট্রেন বিলম্বিত হয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বিঘ্নিত হয় এবং সরকারি মূল্যবান সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছাদে ভ্রমণকারী ও ভ্রমণে উৎসাহ সহযোগিতা প্রদানকারী সমান অপরাধী।

যাত্রীদের ছাদে ভ্রমণ না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আইন অনুযায়ী, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বিপজ্জনক বা বেপরোয়া কার্যের দ্বারা অথবা অবহেলা করে কোনো যাত্রীর জীবন বিপন্ন করে, তবে তার এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা কিংবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।’

ad

পাঠকের মতামত