299542

উষ্ণায়নঃ সৌদি গরম হাজীদের জন্য ভয়ংকর হয়ে ওঠবে কয়েক বছরেই

বিশ্বজলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেভাবে সৌদি আরবের তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে মক্কায় গিয়ে ৫ দিন ধরে হজ পালনের বিষয়টি প্রাণঘাতি হয়ে উঠতে পারে। মক্কায় যাওয়ার মাধ্যমে মুসলিমরা নিজেদেরকে ‘চরম বিপদে’ ঠেলে দিতে পারে। গবেষকরা বলছেন, আগামী কয়েকবছরের মধ্যেই তাপমাত্রা এতোটাই বাড়বে যে মক্কার মরু পরিবেশে গিয়ে হজ করা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। কেননা হজের সময় টানা ২০ থেকে ৩০ ঘন্টা ঘরের বাইরে থাকতে হয়।

১৯৯০ সালে একবার গরমের কারণে ছোটাছুটি শুরু হলে পদদলিত হয়ে ১৪৬২ জন হাজীর মৃত্যু হয়। এরপর ২০১৫ সালে একইভাবে মৃত্যু হয় ৭৬৯ জনের। এসময় আহত হন আরো ৯৩৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ আইটি (এমআইটি)র বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের উচিত একবছরে কতজন হাজি মক্কায় যেতে পারবেন তার সংখ্যা আরো কমানো।

এমআইটির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেনটাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আল-ফাতিহ আল-তাহির বলেন, ‘চরমভাবাপন্ন পরিবেশে জনসমাগম হলে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও অনেক বেশি বেড়ে যায়।’ সৌরবর্ষের সঙ্গে আরবী চন্দ্রবর্ষের ১১ দিনের কম-বেশি হওয়ার পার্থক্যের কারণে প্রতিবছরই হজের সময় বদলে যায়। তবে ২০৪৭ থেকে ২০৫২ এবং ২০৭৯ থেকে ২০৮৬ সালের মধ্যে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে গরম পড়বে যে দিনগুলোতে সে দিনগুলোতেই হজ অনুষ্ঠিত হবে।

এমআইটির অধ্যাপক আল তাহির বলেন, ওই সম্ভাব্য বিপদ এবং অনিরাপদ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এখন থেকেই সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য প্রতিবছর হজ করতে সৌদি আরবে যাওয়া লোকের সংখ্যাও সীমিত করে দিতে হবে। চলতি বছরে বিশ্বের ১৮০টি দেশ থেকে ১৮ লাখ ৫০ হাজার মুসলিম হজ করতে মক্কায় গিয়েছেন। তার সাথে যোগ দেয় সৌদি আরবের আরো ৬ লাখ মুসলিম। সবমিলিয়ে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ মক্কায় জড়ো হয়। সামনের বছরগুলোতে এই সংখ্যা আরো কমাতে হবে। নয়তো বড় ধরনের কোনো বিপদ ঘটে যেতে পারে।

সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

ad

পাঠকের মতামত