298786

৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ায় যেসব বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাবে ভারতীয়রা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আজ সকালে ভারত সরকার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ বিলুপ্ত করার ঘোষণা করে দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় যে সুপারিশ দেন তার উপর রাষ্ট্রপতির হস্তাক্ষরও সম্পন্ন হয়েছে।

এই ধারা বিলুপ্ত করার ফলে ভারতের জনগণ কিভাবে লাভবান হবে তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। এখানে জেনে রাখা ভাল, ভারতের স্বাধীনতা পর ১৯৪৯ সালে নেহেরু ও শেখ আব্দুল্লাহর মধ্যে বোঝাপড়া হয়। সেখানে সিধান্ত নেওয়া হয় যে, সংবিধানে ৩৭০ ধারা যুক্ত রাখতে হবে যেটা জম্মু-কাশ্মীরে বহাল রাখা হবে। সেই অনুযায়ী সুরক্ষা, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকার দেখাশোনা করবে। বাকি সবকিছুই থাকবে রাজ্যের হাতে।

৩৭০ বহাল থাকার অর্থ ভারত ও জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান আলাদা হবে। শুধু এই নয়, জম্মু-কাশ্মীর এর লোকজন ভারতের যেকোন রাজ্যে জায়গা কিনতে পারলেও অন্য রাজ্যের লোকজন জম্মু-কাশ্মীরে জায়গা কিনতে পারতো না। ধারা ৩৭০ থাকার জন্য জম্মু-কাশ্মীর যে বিশেষ নিয়ম লাগু হতো, সেগুলো হলো-

বাসিন্দাদের দুটি নাগরিকত্ব, রাষ্ট্রীয় পতাকা আলাদা-বিধানসভার কার্যকাল ৬ বছর-ভারতের কোন আইন কানুন জম্মু-কাশ্মীরে লাগু হতো না–ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বা আদেশ জম্মু-কাশ্মীরে প্রযোজ্য হতো না–কাশ্মীরে হিন্দু ও শিখরা ১৬% সংরক্ষণ পেত না-মহিলাদের ওপর শরীয়ত আইন প্রযোজ্য ছিল-জম্মু-কাশ্মীরের কোনো মেয়ে অন্য রাজ্যের মেয়েকে বিয়ে করলে ওই মহিলার জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিত্ব ও সম্পত্তির উপর অধিকার সমাপ্ত হয়ে যেত।

এই ধারার জন্য ভারতের বহু হিন্দু নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিশেষ ক্ষমতার উপর ভিত্তি করেই কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ হিন্দু করা হয়েছে। তবে এখন ধারা ৩৭০ বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ এবার থেকে ভারতের অন্য রাজ্যের লোকজন জম্মু-কাশ্মীরে জায়গা কিনতে পারবে। একই সাথে বাকি নিয়মগুলোও ভঙ্গ হবে। -ডেইলি হান্ট।

ad

পাঠকের মতামত