298182

প্রতিবন্ধী বানুকে দোকান খোলে দিলেন পিয়া জান্নাতুল ও তার সঙ্গীরা

দুই হাত নেই তবুও স্বপ্ন দেখা থেমে থাকেনি বানু আকতারের। অবহেলা আর অনাদরে বেড়ে ওঠা বানু পা দিয়েই নানা কাজ করে থাকেন। পায়ের সাহায্যেই সুঁই-সুতা দিয়ে পুঁতি গাঁথেন, পুতুল,নানান ধরনের শো-পিস, ব্যাগসহ নানান ধরনের জিনিস তৈরি করতে পারেন। অনেক দিন থেকেই দারুণ সব ব্যাগ তৈরি করে বিক্রি করতেন।

নীলফামারীর এক গ্রামের দরিদ্র পরিবারে দুটি হাত ছাড়া জন্ম হয়েছিল বানু আকতারের। পড়ালেখাও করেছেন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। এখন গাজীপুরে থাকেন। দুই হাত না থাকা স্বত্তেও কখনই হাত পাতেননি কারো কাছে। নিজেই কষ্টের উপার্জনে জীবন চলছে তার। বয়স বাড়লে কীভাবে চলবেন এই চিন্তায় থাকতেন প্রতিবন্ধী বানু। গেল বছর এই বানুকে নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়।

সম্প্রতি ফেসবুকে এই বানুর বিষয়ে জানিয়ে ছিলেন জনপ্রিয় মডেল ও উপস্থাপিকা পিয়া জান্নাতুল। আজ খুশির খবর দিলেন তিনি। জানালেন বানুর জন্য একটা দোকান করে দেওয়া হয়েছে। তার পাশে এবার দাঁড়িয়েছেন পিয়া জান্নাতুল ও তার সঙ্গীরা।

পিয়া জান্নাতুল বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি পোস্ট দিয়ে বলেছিলাম বানু আপার কথা। উনাকে সাবলম্বী করার চেষ্টাই ছিলো শুধু। আমার কিছু বন্ধু, মুকুল ভাই, আজরা আপু আর সমিয়া আন্টি- আমরা সবাই তার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সালেহা মনসুর ফাউন্ডেশনের সহায়তায় উনার জন্য ছোট একটা দোকান করে হয়েছে। সামিয়া আণ্টি একটা সেলাই মেশিনও উনার মায়ের ফাউন্ডেশন (সালেহা মনসুর ফাউন্ডেশন) থেকে কিছুদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেবেন।’

পিয়া আরও বলেন, ‘এই কাজে আমাকে সহায়তা করার জন্য শিশির আর আমার অফিসের নিয়াজ এবং মনিরকে অনেক ধন্যবাদ। আমি সব সময় বলি যে আমাদের যাদের সামর্থ্য আছে তারা অল্প কিছু করে সাহায্য করলেই কিছু মানুষ সাবলম্বী হতে পারে। আর কাউকে টাকা দিয়ে সাময়িক উপকার করার থেকে সাবলম্বী করাটাই উচিত, এতে অসহায় ব্যাক্তির মান সম্মান নিয়ে কাজ করতে পারবে, সমাজে আর একজন সাবলম্বী মানুষ তৈরি হয়। আমরা যেনো না ভুলি যে মানুষ মানুষের জন্য।’

ad

পাঠকের মতামত