292200

স্কুলছাত্রী সেতুর আত্মহত্যা নিয়ে নানা রহস্য

সম্প্রতি নিখোঁজ হয়েছিল স্কুলছাত্রীটি। খোঁজ মিলছিল না কোথাও। একপর্যায়ে উদ্ধার করা হয় তাকে। কিন্তু উদ্ধার হওয়ার ৫ দিনের মাথায় নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রীটি। নিহত স্কুলছাত্রীর নাম সেতু মন্ডল (১৪)। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে।

নিহত স্কুলছাত্রী সেতু উপজেলার গোয়ালখালী গ্রামের গোপাল মন্ডলের মেয়ে এবং ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। নিজবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বুধবার বিকেলে মারা যায় সে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত স্কুলছাত্রীর লাশ মিডফোর্ট হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল সেতু মন্ডল স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। পরে গত ১১ এপ্রিল তাকে উদ্ধার করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ি। পরে পুলিশ তার বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন গোলামবাজার ফাঁড়ি থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে ফেরার ৫ দিন পর বুধবার সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

সিরাজদীখান থানার ওসি মোঃ ফরিদউদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেল মিয়া (২৪) ও পলাশ রাজবংশী (২৩) নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে আটক করা হয়। স্কুলছাত্রী সেতু মন্ডলের সঙ্গে ওই আটককৃত দুইজনের বেশ সখ্যতা ছিল বলে জানা গেছে। এরাই স্কুলছাত্রীকে অন্যত্র কোথাও নিয়ে গিয়েছিল কিনা-তা জানার চেষ্টা চলছে।

নিহত সেতু মন্ডলের চাচা পবিত্র মন্ডল জানান, কেন সে আত্মহত্যা করল তা বুঝতে পারছি না। এখন আবার শুনতে পাচ্ছি যে, সেতুর নাকি কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

ad

পাঠকের মতামত