292181

লাঠিপেটা করা এমডি’র মতো ‘বস পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার’

নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করে ও শাসিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসা ক্রিডেন্স হাউজিং লিমিটেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুল করিমের মতো বস পাওয়াকে ভাগ্যের বিষয় বলে মন্তব্য করেন একই প্রতিষ্ঠানের আরেক কর্মী মেহেদী হাসান। এছাড়া যে ব্যক্তিকে জিল্লুল করিম পিটিয়েছেন তার ‘অপরাধের’ তুলনায় অনেক কম শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অন্যদিকে জিল্লুল করিমের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, স্যার বলেছেন, এটা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ধানমন্ডির ১৩ নম্বর রোডে অবস্থিত ক্রিডেন্স হাউজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুল করিম সম্প্রতি তার দুই কর্মীকে লাঠিপেটা করেন এবং অন্য কর্মীদের শাসান।

একটি সূত্র জানায়, যে ব্যক্তিকে বেশি পেটাতে দেখা গেছে সেই ব্যক্তিকে পরবর্তীতে চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও সময় নিউজের কাছে আসার পর বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে ওমর নামের ওই ব্যক্তির বর্তমান অবস্থান জানতে যোগাযোগ করা হয় প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের মেহেদী হাসানের সঙ্গে।

শুরুতেই তিনি কর্মী পেটানো জিল্লুল করিম সম্পর্কে সাফাই গাইতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে জিল্লুল স্যার এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেছেন। এখানে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তার মতো বস পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনাল ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে একটা ক্রাইম করা হয়েছে। এটা আমাদের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। পেটানোর ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে আসাকে অপরাধ বলে মনে করলেও পেটানোর ঘটনাকে অপরাধ বলে মানতে নারাজ মেহেদী।

তিনি বলেন, স্যার তার কর্মীকে শাসন করেছেন। তিনি যে অপরাধ করেছেন সেই তুলনায় শাস্তি খুবই নগণ্য। তবে তিনি কী অপরাধ করেছিলেন তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মেহেদী। সময় নিউজের সূত্র জানায়, কার্পেট ঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি এই অভিযোগে ওমর নামের ওই ব্যক্তিকে লাঠিপেটা ও চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে মেহেদীর দাবি, ওমরকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি। তিনি এখনও কাজ করছেন ক্রিডেন্স হাউজিংয়েই। তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার কথা বলা হলে মেহেদী বলেন, আমি এখনই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি।

কিছু সময় পর মোবাইল ফোনে মেহেদী একজনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। ওই ব্যক্তি নিজেকে ওমর বলে পরিচয় দেন এবং তিনি এখনও ক্রিডেন্স হাউজিংয়েই চাকরি করছেন বলে জানান। মেহেদী আরও দাবি করেন, ওমরকে স্যার মারধর করলেও পরবর্তীতে তাকে ডেকে নিয়ে বখশিস দিয়েছেন এবং আদর করেছেন। এখন সবকিছু ঠিক আছে।

প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, কালো শার্ট পরা এক ব্যক্তি সাদা শার্ট পরিহিত একজনের হাতে একটি লাঠি তুলে দিচ্ছেন। এই সময়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন ছয়জন ব্যক্তি। সাদা শার্ট পরা ওই ব্যক্তি লাঠি নিয়ে ওমর নামে ওই ছেলেটিকে পেটাতে শুরু করেন। এরপর কোম্পানির সুপারভাইজারকে পেটানোর জন্য লাঠি তুললেও তিনি তাকে মারেননি। তবে বারবার তাকে শাসাতে থাকেন এবং অপর এক কর্মীর দিকে লাঠি তুলেও মারমুখী ভঙ্গিতে অবতীর্ণ হওয়ার পর আবার ওমরের দিকে ফিরে তাকে পেটাতে শুরু করেন। ভিডিওটির শেষ দিকে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজারকেও লাঠিপেটা করেন তিনি। সূত্র: সময় টিভি

https://www.facebook.com/palash.mahmud.56/videos/2728397233843118/?t=69

ad

পাঠকের মতামত