292255

আমি রাজনৈতিক মারপ্যাচের শিকার: হিরো আলম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত সেলিব্রেটি হিরো আলম জামিনে মুক্ত হয়ে এসেছিলেন বগুড়ার সময় টিভি অফিসে। সেখানে সময় সংবাদকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা, জেল হাজতে যাওয়া, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং জেল হাজতের অভিজ্ঞতা নিয়ে। হিরো আলম সময় সংবাদকে বলেন, তার বিরুদ্ধে শ্বশুরের করা মামলাটি ছিল উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি রাজনৈতিক মারপ্যাচের শিকার। স্ত্রীকে দুটো চড় মারার জন্য মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তাকে এক মাস আটদিন জেল হাজতে থাকতে হলো।

তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার মামলায় আপস মীমাংসার কাগজ জমা দেওয়ার পরও তাকে অতিরিক্ত আরো ১৫ দিনের মতো জেল হাজতে থাকতে হয়, এটিও রাজনৈতিক যড়যন্ত্রের শিকার বলে জানান তিনি। তাকে নিয়ে রাজনৈতিক কারণ হিসেবে তিনি জানান, তিনি বগুড়া -৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। এটিকে কেন্দ্র করে রাজনীতি। এছাড়া গত ৬ মার্চ তাকে মীমাংসার কথা বলে থানায় আসতে বলে গ্রেফতার করা হয়।

জেল খানায় কেমন ছিলেন এর উত্তরে হিরো আলম জানান, তাকে সেলে রাখা হয়েছিল। সেল সাধারণত দাগি আসামিদের জন্য। এরপরও তার নিরাপত্তার জন্য তাকে ওই স্থানে রাখা হয়। তবে তার সাথে সবাই ভালো ব্যবহার করেছে। খাবার দাবার ভালো দিয়েছে। হিরো আলম জানান, বিএনপি তো সংসদে এমপি হিসেবে শপথ নিবে না। যদি শপথ না নেয় তবে তিনি আবারো বগুড়া -৪ আসন (কাহালু -নন্দীগ্রাম) থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই তিনি লড়বেন।

হিরো আলম জেলাখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো সন্ধ্যায় যখন সেলে ঢোকানো হয়। নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হয়। জেলখানার জীবন নিয়ে হিরো আলম দুটি গানও লেখেন । হিরো আলম জেলখানার থেকে বেরিয়ে তার ফেসবুক আইডি এবং পেইজ হ্যাক হওয়ায় দুঃখ পেয়েছেন। তিনি তার ভক্তদের এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে এবং ভুল না বুঝতে অনুরোধ জানিয়েছেন। বগুড়ার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গত ৬ মার্চ তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম তার মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। ৭ মার্চ তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৮ এপ্রিল তার জামিন হয়।

ad

পাঠকের মতামত