292287

আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যদিও ক্ষমতাসীন দলের গ্রহণযোগ্যতা সাধারণত বিভিন্ন ক্ষেত্রে হ্রাস পায়, কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা সাধারণত বিভিন্ন ক্ষেত্রে হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ আমরা আমাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি।’ প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা মন্ডলীর যৌথ সভায় এ কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা গত জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে সব শ্রেণি পেশার মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছে যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী সমাজের পাশাপাশি কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র এবং শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নতুন ও নারী ভোটাররা আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছে। তাই তারা আমাদের সেবা পেতে নৌকার পক্ষে ভোট দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম, নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যদের সমন্বয়ে সদ্য গঠিত আটটি কমিটিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে দলের পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী দলে পরিণত করা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং স্বজনপ্রীতির কারণে জনগণ তাদেরকে বর্জন করায় তাদের অবস্থা হয়েছে পরজীবির মতো।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি গত সংসদ নির্বাচনে ৩ শ আসনের প্রায় ৭ শ লোককে মনোনয়ন দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক জরিপে গত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিএনপি হয়তো মনোনয়ন বাণিজ্য করতে পারে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। উন্নয়নের ছোয়া গ্রামেও লেগেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বাংলা নববর্ষ ১লা বৈশাখ উপলক্ষে দলীয় নেতা কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দলমত বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে জাতি বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১ লা বৈশাখ উপলক্ষে উৎসব ভাতা দিয়েছে। তিনি ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে দলের নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, মুজিব বর্ষ উদযাপনে ইতোমধ্যেই সরকার ও জাতীয় পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত