281701

বেতন পাচ্ছেন না প্রাথমিকের সাড়ে ১১শ’ শিক্ষক-কর্মচারী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: প্রায় ২ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না দৌলতপুর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত সাড়ে ১১শ’ শিক্ষক-কর্মচারী। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সদ্য পদায়নকৃত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোনতাকিমুর রহমান ৭ মার্চ বদলি আদেশ পেয়েও অদ্যাবধি এ উপজেলায় যোগদান না করায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

দৌলতপুর শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে চলতি দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনকে নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ৩১ জানুয়ারি শাস্তিমূলক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে বদলি করা হয়। এরপর জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষা অফিসার বখতিয়ার রহমানকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব দেন। তবে তাকে আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়নি।

গত ৭ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নার্গিস সাজেদা সুলতানা স্বাক্ষরিত স্মারকে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোনতাকিমুর রহমানকে দৌলতপুরে পদায়ন করা হয়। কিন্তু এ আদেশের দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। ফলে বেতনবিলে স্বাক্ষর না হওয়ায় এ উপজেলায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী তাদের বেতন উঠাতে পারছেন না।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বখতিয়ার রহমান বলেন, নতুন শিক্ষা কর্মকর্তা আগামী ২৫ মার্চ যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন। এরপর বেতনবিলে স্বাক্ষর হলে শিক্ষকরা দুই মাসের বেতন একসঙ্গে পাবেন।কুষ্টিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনসুর আলী চৌধুরী বলেন, দৌলতপুর শিক্ষা অফিসের অদক্ষতা ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে শিক্ষকরা বেতন তুলতে পারেননি। আগামী ২৮ মার্চের মধ্যেই এ জটিলতা কেটে যাবে বলে তিনি জানান।

ad

পাঠকের মতামত