262736

শ্বশুর-পুত্রবধূ পরাকীয়া, বাবার হাতে ছেলে খুন

পুত্রবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ৬২ বছর বয়সী ছোটা সিং। কিন্তু ছেলে বেঁচে থাকতে ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই মঙ্গলবার রাতে চল্লিশ বছর বয়সী ছেলে রাজবীন্দ্র সিংকে নিজ হাতে খুন করেন তার বয়স্ক বাবা।ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফরিদকোট শহর সংলগ্ন দবির খানা গ্রামে ওই মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটে।বৃহস্পতিবার স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতের ইংরেজি পত্রিকা ‘হিন্দুস্তান টাইমস’।

মঙ্গলবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন ছেলে রাজবীন্দ্র সিং। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তাকে খুন করেন বাবা ছোটে সিং। এরপর মরদেহ টুকরো টুকরো করে একটা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে নর্দমায় ফেলে দেন।পুলিশ জানায়, কিন্তু ঘাতক ছোটা সিং মরদেহ নর্দমায় ফেলতে গেলে ঘুম ভেঙে যায় তার ভাতিজা চুরচারণ সিংয়ের। ঘরে ছড়ানো ছিটানো রক্ত দেখে তার সন্দেহ হয় যে, নিজ ছেলেকে খুন করেছেন তার চাচা ছোটা সিং। এরপর চাচাকে জেরা করতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। সকালে ঘাতক ছোটা সিংকে পুলিশে সোপর্দ করেন তার ভাতিজা।

নিহতের ছোট ভাই রাজভির সিং পুলিশকে জানান, তার বড় ভাই রাজবীন্দ্র সিং গত ১২ বছর আগে জাসভির কাউরকে বিয়ে করেছিলেন । তাদের ঘরে দুটি সন্তান আছে।কিন্তু পুত্রবধূ জাসভিরের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তার বাবা ছোটে সিং। এ নিয়ে প্রায়ই বাবা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়া হতো। এই অবৈধ প্রেম থেকে বাবাকে ফেরাতে না পেরে গত দু মাস আগে ফরিদকোট শহরের একটি বাসা ভাড়া করে সেখানে স্ত্রীকে রেখে আসেন রাজবীন্দ্র সিং। ওই বাসায় স্ত্রী জাসভির কাউরের সঙ্গে তার মাও থাকতেন।

কিন্তু তারপরও সুমতি আসেনি বাবার। বরং এ ঘটনায় ছেলের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ছোটে সিং। এরপর জাসভিরকে বিয়ে করার জন্য তিনি ছেলেকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। আর মঙ্গলবার সকালে নিজ হাতে ছেলেকে খুন করে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেন ছোটে সিং।এ ঘটনায় ঘাতক ছোটে সিংয়ের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।এদিকে ময়নাতদন্তের পর রাজবীন্দ্র সিংয়ের লাশ তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

ad

পাঠকের মতামত