251357

যে শহরের প্রত্যেক বাড়িতে রয়েছে নিজস্ব প্লেন!

কল্পনা নয়, বাস্তব। পুরো বিশ্বের মধ্যে এমন একটি শহর রয়েছে, যে শহরের অধিকাংশ বাড়ির গ্যারেজেই গাড়ির বদলে আছে প্লেন। আর সেই প্লেন চালিয়েই তারা দৈনন্দিন কাজ সারতে বেরিয়ে যান।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্প্রুস ক্রিক শহর, যেখানে প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে প্লেন।আর শহরের বাসিন্দা প্রায় ৫ হাজার। ১৩০০’র মতো বাড়ি রয়েছে ওই শহরটিতে। তাদের জন্য ৭০০টির মত প্লেন রয়েছে স্প্রুস ক্রিক নামক এই শহরে।শহরটিতে রয়েছে ৪০০০ ফুট লম্বা ও ৫০০ ফুট চওড়া একটি রানওয়ে, যেখানে দৌঁড় দিয়ে আকাশে উড়ে যেতে পারে অধিবাসীদের এরোপ্লেনগুলো।

ফ্লোরিডার স্প্রুস ক্রিক শহরটিতে রয়েছে বেশ কিছু এয়ারক্লাব, এরোপ্লেন ভাড়া দেয়ার সংস্থা, ফ্লাইট ট্রেনিং শেখানোর বন্দোবস্ত এবং ২৪ ঘণ্টার কড়া সিকিউরিটি ব্যবস্থাও। স্প্রুস ক্রিকে অনেক নামি দামি মানুষ বিভিন্ন সময় বসবাস করেছেন।বিখ্যাত অধিবাসীদের মধ্যে এক সময় ছিলেন- হলিউড অভিনেতা জন ট্র্যাভোল্টা। কিন্তু তার বোয়িং ৭০৭-এর ইঞ্জিনের শব্দ এতটাই বেশি ছিল যে, প্রতিবেশীদের অভিযোগের কারণে শেষ পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয় জন ট্র্যাভোল্টাকে!বিচিত্র সব এরোপ্লেন শহরটির বাড়িতে বাড়িতে দেখা যায়। বোয়িং তো রয়েছেই, পাশাপাশি কেসনাস, পাইপার্স, পি-৫১ মাস্টাং, ফরাসি ফগ ম্যাজিস্টার বা রাশিয়ান মিগ-১৫ এর মতো
প্লেনও দেখা যাবে বাড়িগুলির লাগোয়া হ্যাঙ্গারগুলোতে।

যারা ব্যক্তিগত প্লেনে যাতায়াত করার মতো ধন সম্পদের অধিকারী, শুধুমাত্র তারাই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে থাকতে আসেন ফ্লোরিডার এই ছোট্ট শহর স্প্রুস ক্রিকে।জানা যায়, এ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে অধিকাংশই পেশাদার পাইলট। এছাড়াও রয়েছেন- আইনজীবী, চিকিৎসক, ল্যান্ড ব্যবসায়ী।প্রতি রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা রানওয়েটির কাছে যার যার প্লেন নিয়ে সমবেত হন। এরপর ছোট ছোট দল বেঁধে উড়াল দেন নিকটবর্তী এয়ারপোর্টটিতে প্রাতঃরাশ সারতে!এই জনপ্রিয় ঐতিহ্যটি এখানকার বাসিন্দাদের কাছে ‘স্যাটারডে মর্নিং গ্যাগেল’ নামেও পরিচিত।

ad

পাঠকের মতামত