248333

ঢাকা-রংপুরে জমজমাট বিপিএল

স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলের নবম ম্যাচে এসে রানের ফুলঝুড়ি দেখলো শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। দুই দলই রান তুলেছে সমানে সমানে। ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুই দলের আক্রমণাত্নক মনোভাব। ঢাকা-রংপুরের ম্যাচ দিয়েই পরিপূর্ণতা পেয়েছে আজকের বিপিএল। শুরুর দিকে ম্যাড়মেড়ে বিপিএল যেন এই ম্যাচ দিয়ে রং ফিরে পেল। দারুণ জমজমাট ম্যাচে ঢাকা ২ রানে হারিয়েছে মাশরাফির রংপুরকে।আজকের ম্যাচ দিয়েই বিপিএলের ডিআরএসে এসেছে পূর্ণতা। এতদিন বিপিএলে হাস্যকর ডিআরএস থাকলেও আজ থেকে যোগ হয়েছে আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি।

কাগজে কলমে দুই দলেই তারকার মেলা। একদিকে গেইল-রুশো আরেকদিন রাসেল-নারিনরা। তাই এই ম্যাচকে ঘিরে আগ্রহের কমতি ছিল না মিরপুর শেরে বাংলায়।প্রথমে ব্যাট করে মাশরাফির রংপুর রাইডার্সকে ১৮৪ রানের টার্গেট দিয়েছে সাকিবের ঢাকা ডাইনামাইটস। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পোলার্ডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ ১৮৩ রান। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মাত্র ২ রানে হারতে হয়েছে মাশরাফির রংপুরকে।হাইভোল্টেজ ম্যাচ, তারউপর আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই মিরপুর স্টেডিয়াম আজ দর্শকে পরিপূর্ণ। প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে গ্যালারিতে ভক্ত-ক্রিকেটপ্রেমীদের উপস্থিতি আগের ম্যাচগুলোর চেয়ে তুলনামূলক বেশি। এই তালিকায় রয়েছেন সাকিবপত্নী উম্মে আহমেদ শিশিরও। ঢাকা ডায়নামাইটসকে সমর্থন জানাতে এদিন গ্যালারিতে উপস্থিত হন দলটির অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের স্ত্রী।

ঢাকার হয়ে ব্যাট হাতে সফল জাজাই ব্যর্থ হলেন রংপুরের বিপক্ষে। ১ রানেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফগান এই হিটার। দলীয় ১৯ রানে মাশরাফির বলে বোপারার ক্যাচ হয়ে ফেরেন ঢাকার ক্যারিবিয় তারকা সুনিল নারিন। ৮ রান করেছেন তিনি। এরপর চতুর্থ ওভারে ৩৩ রানের মাথায় সোহাগ গাজীর বলে হাওয়েলের ক্যাচে ফিরলেন রনি তালুকদার।মিজানুর রহমান নেমে ১ ছয় ও ১ চারে ১৫ রান করে এলবির শিকার হন হাওয়েলের বলে। এরপর সাকিব-পোলার্ডে রানের গতি বেড়েছে ঢাকার। সাকিব আর পোলার্ড মিলে ৩৫ বলে করেন ৭৮ রানের জুটি। পোলার্ড রান তুলতে থাকেন ঝড়ো গতিতে। ২৬ বলে ৬২ করে দলকে এনে দেন বড় রানের পুঁজি। ৩৭ বলে ৩৬ করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরেন সাকিব।

শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের ১৩ বলে ২৩ রানে ভর করে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডায়নামাইটস।রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী, বেনি হাওয়েল আর শফিউল ইসলাম। মাশরাফি আর ফরহাদ রেজা নেন ১টি করে উইকেট।১৮৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় রংপুর। এরপর রাইলি রুশো এবং মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১২১ রানের জুটি। রুশো ফিরে যান ৪৪ বলে ৮৩ রান করে। এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন ৪৯ রান করে আউট হন। রংপুরের ইনিংসের ১৮তম ওভারে বল হাতে নিয়ে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করেন আলিস ইসলাম। একে একে ফেরেন মিঠুন, মাশরাফি এবং ফরহাদ রেজাকে।এরপর ম্যাচ যায় ঘুরে। শেষ দুই ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৩ রান। রংপুর নিতে পারে ২০ রান। ম্যাচ হারে ২ রানে। শেষ দুই ওভারেও অবশ্য দারুণ জমজমাট ছিল ম্যাচ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বের করে নেয় ঢাকা।

ad

পাঠকের মতামত