246856

উল্টোসুর ড. কামালের

নিউজ ডেস্ক।। ভোটের আগে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. কামাল বলেন, জামায়াত নেতারা ধানের শীষ পাবে জানতে তিনি ঐক্যফ্রন্টে যেতেন না। তবে শনিবার ঠিক উল্টোসুর শোনা গেল তার মুখে। বলেছেন, জামায়াত তাদের জোটে নেই, আছে ২০ দলে। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর বিএনপিকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করার আগেই এই জোট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ড. কামাল। তিনি প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকলে তিনি বিএনপির সঙ্গে জোটে যাবেন না। তবে শেষ পর্যন্ত বক্তব্য এমন আসে যে, তারা জোট করেছেন বিএনপির সঙ্গে, জামায়াতের সঙ্গে না।

শনিবার দলের সবশেষ অবস্থান জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম নেতা বিএনপির অবস্থানের বাইরে গিয়ে জানান ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে জেতা তার দলের দুই জন সংসদ সদস্য শপথ নিতে চান। এ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জামায়াত প্রসঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়েও জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারানো জামায়াত নেতারা শুরুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে পরে অংশ নেন বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে। গণফোরাম, জেএসডি, জনতা লীগেরও প্রতীক একই। আর এটা বিব্রতকর অবস্থানে ফেলে ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের। ‘ধানের শীষে জামায়াত উঠবে জানতেন না, এখন তো জানলেন, এখন তো জানেন। তাহলে কি ঐক্যফ্রন্টে থাকবেন না?’- এমন প্রশ্ন ছিল ড. কামালের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, জামায়াত ঐক্যফ্রন্টে নেই। তারা ২০ দলীয় জোটে আছে।’

সাংবাদিকরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তবে কি ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব আছে?’ জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার মনে হয়, কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’ শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টে থাকবেন কি না?- জানতে চাইলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি, করব। আমরা আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেব।’ ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ঐক্যফ্রন্ট যদি কার্যকরভাবে কাজ করে তাহলে সরকারের ওপরে চাপ থাকবে আইন মেনে দায়িত্ব পালন করার। আর সরকারের ওপরে চাপ তৈরির করার ক্ষেত্রে আমাদের এই ঐক্যের চাপ কাজে লেগেছে। আরো লাগবে বলে আশা করি। তিনি বলেন, দুঃখ লাগে, বছরে শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন খেয়াল- খুশির ব্যাপার নয়। সংবিধানের তো একটা কর্তব্য রয়েছে। আমরা চেয়েছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যেখানে জনগণের মালিকা থাকবে। তারা মালিক হিসেবে তাদের প্রতিনিধিত্ব করবে।

কামাল হোসেন বলেন, খুবই দুঃখজনক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে আঘাত দেয়া হয়েছে। আর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে সেখানে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র থাকে না। এটা সংবিধানের ওপরে আঘাত দেয়া। সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উৎস: বিডি-জর্নাল।

ad

পাঠকের মতামত