193303

রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে আগ্রহী হচ্ছে নারীরা

ব্যস্ত নগরী ঢাকা। জীবনের প্রয়োজনে নিরন্তর এ ছুটে চলা। দিন দিন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের প্রতি নারীরা আগ্রহী হচ্ছেন। যাত্রী এবং চালক দুজনই হবেন নারী। যার ফলে তারা স্বস্তিতে রাইড দিতে পারবে। সব ধরনের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হলে রাজধানীতে নারীদের পথচলা হবে আরো সহজ।

বন্যা বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ফার্মগেট বাসা এবং অফিস গুলশানের লিংক রোডে। যে কারণে যাতায়াতের দখল এড়াতে তার স্কুটিই প্রধান ভরসা।

তিনি বলেন, বাসে মেয়েদের ওঠা-নামা। যেখানেই যাতায়াত করি না খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রায় তিন বছর হলো আমি স্কুটি চালাচ্ছি। স্কুটি নেয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে যানজট এড়ানোর জন্য। আর স্কুটির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে অফিস যেতে পারি। যানবাহনে হেরেজমেন্ট থেকে মুক্ত হয়েছি।

কিন্তু এ সুযোগ মিলছে কতজন নারীর। বেশিরভাগ নারী যাত্রাপথে ধকল পোহাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। উবার-পাঠাও এর মত রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে অনেকের লাভ হলেও তাতে খুব একটা সুবিধা হয়নি নারীদের। যে কারণে এবার রাইড শেয়ারিং সার্ভিস স্যাম নিয়ে এসেছে নারীদের জন্য পিংক স্যাম। যেখানে বন্যার মত শিক্ষার্থী-কর্মজীবীরাই চালক-যাত্রী। সুখবর হচ্ছে, জানুয়ারী মাসের শেষেই পিংক স্যামের সুবিধা পাবেন রাজধানীর নারীরা।

পিংক স্যামের পরিচালক এফ জেড হাসান, গত একবছরে ঢাকা শহরে অনেক স্কুটির সংখ্যা বেড়েছে এবং নারী বাইকারের সংখ্যাও বেড়েছে। আর অনেক নারী ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রেশন করেছে।

এক নারী জানান, ছেলেদের পিছনে নারী যাওয়াটা আমাদের সমাজ মেনে নিচ্ছে না। যদি মেয়ে বাইকার হয় আমাদের সুবিধা হবে। আর ছেলেদের বাইকে ওঠা আমাদের জন্য অস্বস্তিকর।

এই সেবায় মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনার কাছে পৌঁছাবে একজন নারী বাইকার। তার পেছনে বসে ছুটবেন আপনার নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

এক নারী রাইডার জানান, একজন নারী যখন স্কুটি চালাবে আর তার পিছনে এক মেয়ের বসবে। তখন সবদিক থেকে স্বস্তি অনুভব করবে। এছাড়াও আমাদের প্রতিদিনের তেল খরচটাও আমরা তুলতে পারবো।

পিংক স্যামে প্রথম তিন কিলোমিটার ৬০ টাকা, আর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। যা অনেকটা সাশ্রয়ী হবে মত উদ্যোক্তাদের।

একশন এইড বাংলাদেশ ও ইউকে এইডের গবেষণা বলছে, ঢাকা শহরে ৫৬ শতাংশ নারী নির্ভরযোগ্য যাতায়াত ব্যবস্থার অভাবে হরহামেশা বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকেন। পিংক স্যামের সুবিধা আরো প্রসারিত হলে রাজধানীর রাস্তায় নারীদের নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি নারীদের বাইরে বের হওয়ার হার বাড়বে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র : সময়

ad

পাঠকের মতামত