193078

স্ত্রীর দাফনে এসে স্বামী যা করলেন…ধিক!

স্বামী বাড়ি থেকে দূরে। এমন অবস্থায় অসুস্থ স্ত্রী মারা গেলেন। মরদেহ সৎকারের জন্য স্বামী ছুটে এলেন। সঙ্গে জ্ঞাতী বোন পরিচয়ে অন্য এক নারীও এলেন।

শোকবিধূর বাড়িতে সবার চোখেমুখে স্বজন হারানোর বেদনা। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছিল পরের দিন। মরদেহ সংরক্ষণ করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ল সকালের অপেক্ষায়।

ওদিকে, ভোর ৫টার দিকে এক প্রতিবেশী ধূমপান করতে বের হন পথে। এ সময় সদ্য স্ত্রী হারানো লোকটি যে ঘরে ঘুমিয়েছে সেটা থেকে অদ্ভূত শব্দ আসছিল।

প্রতিবেশী ভাবলেন, ভেতরে কেউ সমস্যায় পড়েছে বা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ‘মরা বাড়িতে’ আবার কোন দুর্যোগ- এটা ভেবে তিনি চিৎকার করে বাড়ির লোকদের ডাকেন, জড়ো হয় আশপাশের লোকজনও।

এরপর দরজা খুলে ভেতরে যে আলামত তারা দেখলেন তার জন্য ঘুণাক্ষরেও প্রস্তুত ছিলেন না কেউ। এটা তো মানুষের কল্পনারও অতীত!

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, জিম্বাবুয়ের গুয়েভেরা এলাকার বাসিন্দা লুসিয়াস চিতুরমানি। সম্প্রতি স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি যে ‘আত্মীয়া’কে সঙ্গে নিয়ে ফেরেন, সেই নারী আসলে একজন যৌনকর্মী। তবে বাড়ির লোকজনকে জানান, এটি তার দূর সম্পর্কের বোন, হঠাৎ দেখা হয়েছে। শোকের বাড়িতে স্ত্রীহারা লোকটির সঙ্গে আসা ‘মেহমানের’ থাকার ব্যবস্থা হয় তারই সঙ্গে, একই ঘরে। কেউ কোনো সন্দেহ করেনি।

কিন্তু বাড়ির একদিকে যখন স্ত্রীর মৃতদেহ রাখা ছিল তখন অপরদিকে স্বামীটি অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন, সঙ্গে করে নিয়ে আসা যৌনকর্মীর সঙ্গে।

গাঙের পাড় ভাঙার মতো মানুষের বিবেকবোধের এভাবে হুড়মুড় ভেঙে পড়ার এই জঘন্য ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ছুটে আসে। মনুষ্যত্ব, বিবেক, সম্পর্ক, আবেগ, নৈতিকতা- সবকিছুর মুখে চুনকালি মাখানো চিতুরমানিকে ধুমসে গণধোলাই দেওয়া হয়।

এরপর ক্রুদ্ধ জনতাও কিছুটা বেএক্তিয়ার কাজ করে ফেলে। তারা সঙ্গী নারীসহ চিতুরকে অর্ধনগ্ন করে পুরো গ্রাম চক্কর দেওয়ায়।

চিতুরের এক আত্মীয় ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমার আঙ্কেল যা করেছে তারচেয়ে জঘন্য আর কী হতে পারে? তিনি প্রমাণ করেছেন যে তিনি জন্তু-জানোয়ারকে ছাড়িয়ে গেছেন, তার ভেতরে নৈতিকতা প্রাণ হারিয়েছে। জীবনে এমন জঘন্য ঘটনার কথা শুনিনি আর…যা ঘটেছে সবাই দেখেছে…
সূত্র : জনসত্তা.কম, টুইটার

ad

পাঠকের মতামত