193179

‘মেয়র আইভী নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আইভীকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার সমস্যা চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আইভীর শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে পরিবর্তন ডটকমকে ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান লেলিন জানান, ‘মেয়র আইভীকে সিসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নরমাল ইনসিডেন্ট, উনার ব্লাড প্রেসার কম ছিল। আমরা এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। সিটি স্ক্যানের পর বলা যাবে সমস্যা কোন জায়গা থেকে আসছে। ব্রেইন নাকি হার্টের সমস্যা হয়েছে- তা নিশ্চিত করে বলা যাবে।‘

এর আগে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তিনতলায় চিকিৎসাধীন সাংবাদিক শরীফউদ্দিন সবুজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ আহতদের দেখতে গিয়ে মেয়র আইভী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাকে ঢাকায় আনা হয়।

উল্লেখ্য, ২৭ দিন ধরে শহরে হকার উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গত সোমবার বিকেলে চাষাঢ়ায় হকারদের সভায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান সংহতি প্রকাশ করেন।

ওইসময় হকারদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নারায়ণগঞ্জ ডিসি, এসপি ও ব্যবসায়ী সংগঠন চেম্বারকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তিনি।

এই আল্টিমেটামের নির্ধারিত সময় পর গত মঙ্গলবার হকাররা চাষাঢ়ায় অবস্থান নেন। খবর পেয়ে মেয়র আইভী তার লোকজন নিয়ে চাষাঢ়ার অদূরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের বিপরীতে সায়েম প্লাজার সামনে এসে অবস্থান নেন।

এ সময় শামীম ওসমান সমর্থকরা হকারদের নিয়ে মেয়র আইভী ও তার লোকজনকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মেয়র আইভী, সাংবাদিকসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

ad

পাঠকের মতামত