193162

প্রথম দিন অফিস শেষে পূর্ণিমা যা বললেন…

২০০১ সালের নির্বাচনের পর গণধর্ষণের শিকার পূর্ণিমা শীলকে নিজের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

এই নিয়োগের কথা নিশ্চিত করে বুধবার বিকালে তারানা বলেন, আমার পরিকল্পনায় ছিল ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য কিছু করার।
আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার পদটি খালি থাকায় পূর্ণিমাকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর আজ বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণিমা অফিস করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ণিমা তথ্য মন্ত্রণালয়ে আসেন পূর্ণিমা। সন্ধ্যায় তার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। পূর্ণিমা প্রথম দিনের অফিস করার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমি অনেক খুশি। আমার জীবনে এমন দিন আসবে সেটা কখনো ভাবিনি। অফিসের সবাই আমার সঙ্গে খুব আন্তরিকভাবে মিশেছে বলেও জানান পূর্ণিমা।

তিনি আরো বলেন, আমার নিয়োগটি যেহেতু রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়েছে তাই তথ্য প্রতিমন্ত্রীর রাজনৈতিক কাজগুলোই করবো। সেগুলোই আজ সারাদিনে বুঝে নিয়েছি।

পূর্ণিমা পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় গান শিখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন।পূর্ণিমার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহায়তা করেছেন। পূর্ণিমা জানিয়েছে, সে প্রধানমন্ত্রীকে মামনি বলে সম্বোধন করে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন পূর্ণিমা।

একজন প্রতিমন্ত্রী সরকারের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে উপসচিব পদমর্যাদার একজনকে একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে পান, এক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রী তার পছন্দের কর্মকর্তাকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন। এছাড়া পছন্দমতো একজনকে সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন একজন প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট বিজয়ী হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আক্রান্ত হয় হিন্দু সম্প্রদায়, এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা। ধর্ষণকারীরা সবাই চারদলীয় জোটের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

২০১১ সালের ৪ মে এই ধর্ষণ মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে আদালত। উৎস : পূর্বপশ্চিম।

ad

পাঠকের মতামত