192998

গোপনে ধারনকৃত ক্যামেরায় যুবতীদের মাদক সেবন ও সেবনের পরবর্তী অবস্থাটা দেখুন ভিডিওতে

মাদক যুবসমাজের জন্য অভিশাপ। প্রতিনিয়ত মাদকাসক্ত হচ্ছে আমাদের যুবসমাজ। মাদক পরিবারে বয়ে আনে অশান্তি। সমাজে আনে বিশৃঙ্খলা। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যক্তি। সর্বোপরি জাতিকে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বেকারত্ব, হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা ইত্যাদি নানাবিধ সংকটের উছিলা দিয়ে মাদক গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠছে যুবসমাজ। অনেকটা আবার কৌতুহলের ফসল। কিংবা কুরুচিপূর্ণ সিনেমা-নাটক দেখে নায়কোচিত ভাব গ্রহণের জন্যও দিনদিন আসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে মাদকের সহজলভ্যতা ও অবাধ বিপণনও কম দায়ি নয়।
একাধিক সূত্র জানায়, মাদকের অবাধ বিচরণে সারা দেশের অবস্থাই আজ নাজুক। মাদকের বিষাক্ত ছোবলে দিশেহারা যুবসমাজ। ইয়াবা ও প্যাথেড্রিন নেশায় ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। গাঁজা, মদ ও ফেনসিডিল এবং বিভিন্ন কাশির সিরাপে আসক্ত অনেকে। ঘুমের ট্যাবলেট সাথে থাকা চাই। তাই শান্তির শহরে মাদকাসক্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এখন কারো পরিবারের সন্তানই মাদকের ছোবল থেকে নিরাপদ নয়।

নারী মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের চাপে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। নারী মাদকাসক্তদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ ইয়াবাসেবী। তাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ পারিবারিক অশান্তির কারণে মাদক গ্রহন করছেন। আর বন্ধুদের প্ররোচনায় ৩৩ শতাংশ নারী মাদক গ্রহণ শুরু করেন।’আগামীকাল রোববার (২৬ জুন) মাদক দ্রব্যের অবৈধ্য পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপন্থাপন করেন ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের উপপরিচালক ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ইকবাল মাহমুদ।তিনি জানান, আহ্‌ছানিয়া মিশনের নারী মাদকাসক্তদের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা ১০৩ জন নারীর মধ্যে পরিচালিত জরিপ থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, নারী মাদকাসক্তদের শতকরা ৩৪ ভাগ মানসিক রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২৯ শাতাংশের বিয়ের পূর্বে যৌন সম্পর্কের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর মধ্যে একাধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে ২৩ শতাংশ রোগীর।এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট আমীর সাজু, আব্দুল আওয়াল, মাদক বিশেষজ্ঞ জাহিদ ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেকটা সুস্থ্য বিনোদনের অভাবে অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে যুবকরা। সুস্থ্য ধারার সাংস্কৃতিক চর্চা আসক্ত যুবকদের ফিরিয়ে আনতে পারে আলোর পথে। সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তির সন্তানকে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে অন্তর্ভূক্ত হতে সহায়তা প্রদান ও উৎসাহিত করা আবশ্যক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে অনেক নেতা-কর্মী নানা হতাশায় মাদকের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মাদক বিক্রি এবং পাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহর কিংবা মফস্বলে এখন সবচেয়ে বেশি মাদক সেবন হয় ইয়াবার। ইয়াবার বিষে আক্রান্ত কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপকহারে ইয়াবা ঢুকে পড়েছে। এর পাইকারি চালানদাতারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। শহরে-গ্রামে-গঞ্জেও ইয়াবা সেবন এবং বিক্রি হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এখন শহরে এমনকি গ্রামে-গঞ্জে রাত জেগে তরুণদের বেশ আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। হাল ফ্যাশন হিসেবে তাদের আবার রয়েছে নতুন নতুন মডেলের মোটরসাইকেল। কে ভালো কে মন্দ বুঝার উপায় নেই। তবে প্রতিদিনই বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইয়াবাসহ মাদকবিক্রেতাদের আটক করছে। কিন্তু আইনের ফাক-ফোকর দিয়ে তারা আবার খুব সহজেই মুক্তি পাচ্ছে।

 

https://www.youtube.com/watch?v=2mfCvg__-VI

ad

পাঠকের মতামত